কনফারেন্স অফ দ্য পার্টিস-এর ২৮ তম বৈঠকের (কপ-২৮) আগে, প্রস্তাবিত কমনওয়েলথ জলবায়ু সম্মেলন আয়োজনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত ২২ তম কমনওয়েলথ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে (সিএফএএমএম) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ঢাকায় এই বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব দেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, “এর দুর্বলতা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ জলবায়ু অভিযোজনে বিশ্বনেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজনকে সমর্থন করার জন্য ঢাকায় গ্লোবাল সেন্টার ফর অ্যাডাপ্টেশনের (জিসিএ) দক্ষিণ এশিয়া হাব প্রতিষ্ঠা করেছে।”
৫৩ সদস্যের ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতিত্ব কালে বাংলাদেশ ২০২১ সালে গ্লাসগোতে কপ-২৬ এ প্রথম কমনওয়েলথ-সিভিএফ জলবায়ু সমৃদ্ধি সংলাপের আয়োজন করে। প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার বলেন, “বাংলাদেশ জলবায়ু খাতে বছরে পাঁচশ’ কোটি ডলার ব্যয় করে এবং ইতোমধ্যে 'মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান ২০৩০' নামে একটি লো-কার্বন ট্রানজিশন স্ট্র্যাটেজি চালু করেছে।”
তিনি আরও বলেন যে কমনওয়েলথ-কে অবশ্যই ২০২৪ সালের ডব্লিউটিও মন্ত্রীপর্যায়ে এলডিসি, এলএলডিসি, এসআইডিএস এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন দেশগুলোর দুর্বলতা মোকাবেলা করতে হবে। এছাড়া, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের বাইরে, তাদের বাণিজ্য-সম্পর্কিত জিএসপি অব্যাহত রাখা, বেসরকারি মূলধন প্রবাহ এবং সবুজ প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য নমনীয় অর্থায়নের মতো ক্ষেত্রগুলোতে মনোনিবেশ করতে হবে কমনওয়েলথ-কে।