অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার দুই অসমসাহসী তরুণ সাংবাদিক


কলকাতার দুই অসমসাহসী তরুণ সাংবাদিক
কলকাতার দুই অসমসাহসী তরুণ সাংবাদিক

১৯৭১ সাল, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল সময়। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে তখন পাকসেনাদের অত্যাচার, রাজাকারদের হিংস্রতা পৌঁছেছে শেষ সীমানায়। স্বাধীনতার জন্য শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ে যাচ্ছেন বর্তমান বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ। ঠিক কী চলছিল সেই সময়ে সে দেশের মাটিতে তা জানতে উদগ্রীব হয়ে থাকতেন ভারত তো বটেই বিশেষত প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরা। মুক্তিযুদ্ধের আঁচ এসে লেগেছিল এ পারেও। বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের লড়াই পুঙ্খানুপুঙ্খ তুলে ধরার তাগিদ দেখা দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের বিশেষত কলকাতার সাংবাদিকদের মধ্যে। সেইসব আগুনঝরা দিনের বাস্তবচিত্র নিজেদের চোখ দিয়ে দেখে, কানে শুনে, ক্যামেরায় বন্দী করতে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেক সাংবাদিক বাংলাদেশে পৌঁছেছিলেন। সংবাদপত্র, পত্রিকা, রেডিও – সাংবাদিকতার নানা মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদন পরিবেশন করেছেন তাঁরা, যা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য তথ্য হয়ে উঠেছে।

দীপক, সুরজিৎ - দুই তরুণ তুর্কি সাংবাদিক

এই সাংবাদিকদের মধ্যেই ছিলেন এমন দু’জন তরুণ সাংবাদিক দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুরজিৎ ঘোষাল যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের খবর সংগ্রহে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পৌঁছে তারপরে আর ফিরে আসেননি ভারতে, কলকাতায়। দু’জনেই ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৬৭-৬৯ সালের স্নাতকোত্তরে সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র। ’৬৯-এ যখন তাঁরা সবে সাংবাদিকতা পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ছেন তখন প্রতিবেশী রাষ্ট্রে বেজে উঠেছে স্বাধীনতার যুদ্ধের দামামা। দীপক ও সুরজিৎ দু’জনেরই ছিল অদম্য সাহস আর খবর সংগ্রহের প্রতি অসম্ভব প্যাশন। তাঁদের মনে হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সঠিক খবর সংগ্রহের মধ্যে দিয়েই তাঁদের সাংবাদিক জীবন শুরু হতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের গ্রাউন্ডজিরো থেকে সরাসরি সংবাদ সংগ্রহের দুর্মর তাগিদ অনুভব করেছিলেন তাঁরা। দু’জনের কেউই তখন কোনও সংবাদ সংস্থায় পূর্ণ সময়ের সাংবাদিক নন – ফ্রিল্যান্সার। ঘটনাস্থল থেকে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষদের উপর অত্যাচার, শোষন ও তাদের অপারসাহসী লড়াইয়ের বিবরণ তুলে ধরতে সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগে তাঁরা পাড়ি দেন পূর্ব পাকিস্তান, আজকের বাংলাদেশ।

দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় তখন ছিলেন কলকাতার সংবাদপত্র অমৃতবাজার পত্রিকার সাব-এডিটর আর সুরজিৎ ঘোষাল যোগ দিয়েছিলেন দৈনিক হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ড-এ শিক্ষানবিশ সাংবাদিক হিসাবে। মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল সময়ে আত্মীয়-বন্ধুরা অনেকেই কিছুটা আশঙ্কিত হয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন যাতে সাংবাদিক জীবনের শুরুতেই, আগে এ ধরনের খবর ‘কভার’ করার কোনওরকম অভিজ্ঞতা ছাড়া তাঁরা যেন বাংলাদেশে যাওয়ার ঝুঁকি না নেন। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানি সেনাদের অকথ্য অত্যাচার আর পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের অসমসাহসী লড়াইয়ের ছবি, তথ্য অন্যান্য সাংবদাদিকদের মতোই সংগ্রহ করে আনার মানসিকতায় বেরিয়ে পড়েন তাঁরা দু’জন। তার আগে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলায় বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের খবর করে এনেছিলেন তাঁরা, যা তাঁদের বাংলাদেশে যাওয়ার ইচ্ছেকে সুদৃঢ় করেছিল।

কলকাতার দুই অসমসাহসী তরুণ সাংবাদিক
কলকাতার দুই অসমসাহসী তরুণ সাংবাদিক

মুক্তিযুদ্ধ ও কনফ্লিক্ট জোন থেকে রিপোর্টিং – চিরতরে হারিয়ে গেলেন দুই সাংবাদিক

সেই যুদ্ধের আবহাওয়ায় লক্ষ লক্ষ শরণার্থীদের চলাচলের পথে অনেক সাংবাদিকও পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে প্রবেশ করেছিলেন। সীমান্ত পেরিয়ে এভাবেই ১৯৭১-এর ২৩ মার্চ বাংলাদেশে ঢোকেন দীপক ও সুরজিৎ। তারপর বিভিন্ন জেলার মধ্যে দিয়ে পৌঁছান ঢাকা। এরপর খুলনা হয়ে ঢাকায় আসার পর ঢাকা থেকে কুমিল্লা হয়ে আগরতলা সীমান্ত দিয়ে ফিরে আসেন ভারতে। কিন্তু তারপরেও তাঁরা আরও সংবাদ সংগ্রহের জন্য আবার ঢাকা হয়ে কলকাতায় ফিরে আসার জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এবং তারপর থেকেই তাঁদের আর কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। আর নিজেদের দেশে, নিজেদের শহরে ফিরে আসেননি সত্তরের দশকের এই দুই তরুণ তুর্কি সাংবাদিক। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় রাজাকাররা পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে তাঁদের তুলে দেন। পড়শি দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে চিরতরে হারিয়ে যান (পরবর্তীতে বিভিন্ন খবরের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয় যে তাঁরা মৃত) সদ্য সাংবাদিক জীবন শুরু করা দুই সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিক।

সাংবাদিকদ্বয়ের স্মৃতিরক্ষায় কলকাতা সাংবাদিক মহলের উদ্যোগ

কলকাতা প্রেস ক্লাব-এর সভাপতি ও বরিষ্ঠ সাংবাদিক স্নেহাশিস সুর-এর উদ্যোগে ও সম্পাদনায় ও কলকাতা প্রেস ক্লাব-এর ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০১৯-এ প্রকাশিত হয় ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুক্ত – কলকাতার সাংবাদিকরা ও প্রেস ক্লাব কলকাতা’ শীর্ষক একটি বই। বইটি উৎসর্গ করা হয় সাংবাদিকদ্বয় দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুরজিৎ ঘোষালকে। এই বইয়ের ‘শহিদ দুই যোদ্ধা সাংবাদিক’ শিরোনামের অধ্যায়ে এই দুই সাংবাদিকের স্মৃতিচারণা করেছেন তাঁদের সহপাঠী ও সহকর্মী সাংবাদিক মানিক ব্যানার্জি। এরপরে শুধুমাত্র এই দুই সাংবাদিকের উপরে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন স্নেহাশিস শূর। ২০২১ সালে কলকাতা প্রেস ক্লাব-এ দীপক ও সুরজিৎ-এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ফলকটি উন্মোচন করেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ডঃ হাছান মাহমুদ।

তথ্যনির্ভর সাংবাদিকতা, কনফ্লিক্ট জোন থেকে গ্রাউন্ড রিপোর্টিং-এর প্রতি নিষ্ঠ দুই তরুণ সাংবাদিক, সাংবাদিকতার জীবন শুরু করেই প্রাণ দিয়েছিলেন প্রতিবেশি রাষ্ট্রের স্বাধীনতার লড়াইয়ের ‘খবর’ করতে গিয়ে। অথচ তাঁদের নিয়ে আলোচনা হয় কমই। ভয়েস অফ আমেরিকা-কে স্নেহাশিস সুর জানালেন, “আগে কেউ কেন দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুরজিৎ ঘোষালের মুক্তিযুদ্ধের খবর সংগ্রহে গিয়ে শহিদ হওয়ার বিষয়ে কিছু ভাবেননি সে বিষয়ে বলতে পারব না। তবে আমরা ভেবেছি আর সেইজন্যই তাঁদের বিষয়ে যতটা সম্ভব জানানোর জন্য পঞ্চাশ বছর পরে বই দু’টিতে লিখে রাখা হয়েছে। স্মৃতিফলকটিও সেইজন্যই তৈরি করা, যাতে এখনকার সাংবাদিকেরা এটি দেখেন ও জানেন এই দু’জন সাংবাদিকের বিষয়ে।”

নাম যুক্ত হোক মুক্তিযুদ্ধের শহিদ সাংবাদিকদের তালিকায়

আর কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে তাঁদের স্মৃতি উজ্জ্বল রাখতে, সে প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি যাতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হওয়া সে দেশের ন’জন সাংবাদিকের তালিকায় এই বাংলা তথা ভারতের দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুরজিৎ ঘোষালের নামও নথিভুক্ত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাঁরা এ বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করছেন, ফাইল তৈরি হচ্ছে। তাছাড়া তাঁদের মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা প্রদান করা হয় আমরা সে অনুরোধও রেখেছি। দুই বাংলার যৌথ উদ্যোগে দুই তরুণ সাংবাদিকের সাহস ও অবদান মনে রাখা হবে, সেই আশা করি।”

মুক্তিযুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতার শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীদের অংশগ্রহণের আলোচনায় কেন তেমনভাবে উঠে আসে না এই দুই তরুণ সাংবাদিকের হারিয়ে যাওয়ার কথা? “আসলে তাঁরা শরণার্থীও ছিলেন না, ছিলেন না মুক্তিযোদ্ধাও, তাই তাঁদের নিয়ে তেমনভাবে আলোচনা হয়নি কখনও,” এমনটাই মনে করেন স্নেহাশিস সুর।

কলকাতার দুই অসমসাহসী তরুণ সাংবাদিক
কলকাতার দুই অসমসাহসী তরুণ সাংবাদিক

এক মায়ের আমৃত্যু অপেক্ষা

বর্তমানে ৭৬ বছর বয়স, সুরজিৎ ঘোষালের পিঠোপিঠি বয়সের মাসতুতো দাদা প্রসিত বসুর। তিনি নিজেও পশ্চিমবঙ্গের এক প্রথম সারির সংবাদপত্রের মুদ্রণ বিভাগের দায়িত্ব সামলেছেন কর্মজীবনে। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ভয়েস অফ আমেরিকা-কে জানালেন, “কলেজ পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা পড়তে শুরু করার পরেই ওর মধ্যে একটা পরিবর্তন আসে। এতদিন পর্যন্ত আমরা শার্ট-ট্রাউজার পরতাম। কিন্তু এই সময় থেকে ও ধুতি-পাঞ্জাবি বা ধুতি-শার্ট পরতে শুরু করে। তাছাড়া চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রেও একটা বদল আসে। ফটোগ্রাফিতে খুব উৎসাহ ছিল। একটা মাউন্টেনিয়ারিং-এর কোর্স-ও করে ফেলে। একটা যেন অ্যাডভেঞ্চার-এর মানসিকতা তৈরি হয়।”

তিনি জানালেন, যখন মুক্তিযুদ্ধের গ্রাউন্ড রিপোর্ট করবেন এমনটা পরিবারে জানান তখন সকলেই না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন, কারণ তখন সুরজিৎ নিছকই শিক্ষানবিশ সাংবাদিক, বড় কোনও সংবাদসংস্থায় কর্মরতও নন। প্রথমবারের পর তাঁর রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা শুনে সকলেই শিহরিত হয়েছিলেন, সেইসঙ্গে আশঙ্কিতও। কিন্তু তিনি কারওর বারণই শোনেননি, বরং বলেছিলেন – যে দায়িত্ব পেয়েছেন তা সাংবাদিক হিসাবে পূরণ করবেনই এবং এই কাজে সফল হলে ভবিষ্যতে তিনি আরও এগিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু দ্বিতীয় বার যখন আর তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন থেকেই দুই দেশের সরকার, পরিচিত জনের কাছে ছোটাছুটি শুরু করেন তাঁর পরিবারের মানুষেরা। কিন্তু স্পষ্ট কোনও খবরই পাওয়া যায়নি। কখনও শোনা গেছে – তাঁরা পুকুরে ডুব দিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন, কখনও শোনা গেছে তাঁদের ছবি দেখা গেছে, কেউ বলেছেন পাকিস্তানের জেলে বন্দী আছেন। তবে সমস্ত তথ্যের মধ্যে, কোনও রাজাকারের বিশ্বাসঘাতকতায় পাকিস্তান সৈন্যদের হাতে তাঁরা ধরা পড়েন ও তাঁদের মৃত্যু হয় এইটিই সবচেয়ে বেশি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়েছে তাঁর পরিবারের।

সুরজিৎ ঘোষালের যখন দেড় বছর বয়স তাঁর বাবা মারা যান। কলকাতা গর্ভনমেন্ট আর্ট কলেজ-এর গোল্ড মেডালিস্ট ছিলেন তাঁর মা শিল্পী-ভাস্কর নমিতা ঘোষাল। তাঁরা থাকতেন উত্তর কলকাতায়। একমাত্র সন্তানের ফিরে না আসার অবর্ণনীয় শোক সামলেছিলেন নিজেকে কাজের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়ে। কিন্তু সেই ১৯৭০-’৭১ সাল থেকে ১৯৮৩ পর্যন্ত আমৃত্যু অপেক্ষা করেছেন ছেলের ফিরে আসার, মেনে নিতে পারেননি তাঁর মৃত্যুর খবর। “১১ মার্চ সুরজিৎ-এর জন্মদিনে যতদিন মাসি বেঁচে ছিলেন আমরা সবাই নানা গিফট নিয়ে যেতাম। মূলত ধুতি-পাঞ্জাবি। মাসি আমৃত্যু, মানে ১৩ বছর ধরে সেগুলি জমিয়ে রেখেছিলেন,” বললেন প্রসিত বসু।

বাংলা সাংবাদিকতায় কেন তাঁদের কথা আরও বেশি আলোচনা হয় না মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে? “সেই সময়ের বহু সাংবাদিকই এখন আর নেই। আগে তেমনভাবে কিছু লেখাপত্র না থাকায় নতুনরাও খুব বেশি কিছু জানতে পারেননি। তাঁদের দোষ দিই না। মুক্তিযুদ্ধে শহিদ সাংবাদিকদের তালিকায় তাঁদের নাম যোগ হলে এটুকুই মনে হবে যে ইতিহাসে নাম থাকল। ৫২ বছর পর তো শোকও স্তিমিত হয়ে আসে,” ভয়েস অফ আমেরিকা-কে বললেন প্রসিত বসু।

দীপক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা ভারতীয় রেল-এ কর্মরত ছিলেন, পরিবারের সঙ্গে থাকতেন হাওড়ার রেল কোয়াটার্স-এ। কিন্তু তাঁর পরিবারের কারওর সঙ্গেই যোগাযোগ করা যায়নি।

XS
SM
MD
LG