ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাহী ভাইস-প্রেসিডেন্ট ভালদিস ডোমব্রোভস্কিস বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক-কে বহুমাত্রিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাজনৈতিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
চার দিনের সফরের শেষ পর্যায়ে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ৫ মে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের সদর দপ্তরে ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় ইউ’র ইবিএ স্কিমের সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হিসেবে বাংলাদেশের প্রশংসা করেন ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার।
তিনি বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) মর্যাদা থেকে উন্নীত হওয়ার এবং জিএসপি-প্লাস ছাড়ের জন্য বাংলাদেশের পক্ষে আবেদন করার ব্যাপারে ইইউ’র সমর্থন ব্যক্ত করেন।আর, ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ এবং ইইউ-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স-কে তিনি ইউরোপীয় ও বাংলাদেশি ব্যবসার অর্থপূর্ণ সমন্বয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তুলে ধরেন।
ইইউ বাণিজ্য কমিশনার শ্রম খাতে বাংলাদেশের জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অভিযোজন এর প্রশংসা করেন। ইবিএ স্কিম, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ইইউ-তে আসা সমস্ত পণ্যের (অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাদে) আমদানির জন্য শুল্ক এবং কোটা বাদ দেয়।
বাংলাদেশ ও ইইউ অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন করায়, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে ইইউ-এর ভূমিকা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি, অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে এবং উত্তোরণের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যতে ইইউ-এর ভূমিকার বিষয়ে কমিশনারকে অবহিত করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “অংশীদারিত্ব সহযোগিতা চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ। আর, এই চুক্তি হবে, উন্নত সম্পর্ক-কে সুসংহত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি প্রক্রিয়া।”