বাংলাদেশে বিভিন্ন বিদেশি অতিথিদের সফরকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (২১ জুলাই) সকালে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার আগে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেছেন, “ইইউ প্রতিনিধি দল এসেছে নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে। অন্য কারো আমন্ত্রণে নয়। যেহেতু নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে এসেছে, তারা কমিশনের সঙ্গে, সরকারি দল, বিরোধী দল, সবার সঙ্গেই বৈঠক করেছে। তাদের এই সফর অত্যন্ত ইতিবাচক।”
তিনি বলেন, “কারণ, নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে ইইউ প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলো। ইইউ তাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। এটি খুবই ইতিবাচক।”
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারিসহ উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দলের সফর সম্পর্কে হাছান মাহমুদ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের চমৎকার বহুমাত্রিক সম্পর্ক। তারা আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রার সহযোগী এবং কিছুদিন আগে আমরা দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছি। সেই আলোকে এই চমৎকার সম্পর্ক আরো দৃঢ় করার লক্ষ্যেই তাদের এই সফর।”
হাছান মাহমুদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে দেশে আশ্রয় দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল সেই আশ্রয় ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। যাওয়ার আগে তারা বলেছেন, আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে যাবে। অর্থাৎ তাদের সফর আমাদের সম্পর্ককে দৃঢ়তর করেছে।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ভারত, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ইউরোপের ফ্রান্স, জার্মানিসহ সব গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনকালে চলমান সরকারই দায়িত্ব পালন করে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করে না।”