পশ্চিমা নয়, দেশের মানুষ সমর্থন দিলে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে পশ্চিমা দেশ নয় বরং দেশের জনগণ নির্বাচনকে সমর্থন দিল কিনা সেটাই বড় বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, "দেশের জনগণ সমর্থ দিল কিনা, এটাই বড় বিষয়।"
"বিদেশি কে কি বলল, সেটা নিয়ে আমি আগ্রহী নয়। দেশের কে কি বলেছে সেটাতে আমি বিশ্বাসী।"
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বিদেশি পযবেক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই কথা বলেন।
পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের এবারের নির্বাচন কিভাবে নেবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পশ্চিমা দেশ নিয়ে আপনারা (সাংবাদিককে) এতো চিন্তিত কেন? নিজের প্রতি বিশ্বাস নাই। জনগণ সরকারকে ভোট দিয়েছে এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। আমরা জনগণে বিশ্বাস করি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিক একটা সেন্টারে গেছে সকাল ছয়টায়। তখন তো কোনও লোকজন ছিল না।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বিএনপির প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়ে মোমেন বলেন, "বিরোধী দলের সঙ্গে যে তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে, ভবিষ্যতে তিক্ততা কমানোর বিষয়ে কি করি, সেটা তারা জানতে চেয়েছে। বিএনপি তো কোনও ইস্যু নিয়ে আসে নাই যে তার ওপর আলোচনা করতে পারি।"
নির্বাচনে কোথাও কারচুপি হয়নি দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, "নির্বাচনে কোথাও কোনও কারচুপি হয়নি।কোথাও জাল ভোট হয়নি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।"
নির্বাচনে ভোটদানের প্রক্রিয়া স্লো (ধীরগতি) ছিলো বলে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, "প্রধানমন্ত্রী ভোট দিতেও তিন মিনিট লেগেছে। বেশিরভাগের ভোট দিতে প্রায় আধঘণ্টা সময় লাগছে।"
আদিত্য রিমন
বিজয় মিছিল না করার নির্দেশ আওয়ামী লীগের
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা চলাকালীন রোববার রাত আটটার দিকে আওয়ামী লীগ উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান গণমাধ্যমকে জানান, নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর কোন প্রকার বিজয় মিছিল না করার এবং অন্যপ্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সহিংসতা বা আত্মকলহে লিপ্ত না হওয়ার জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
হাসিবুল হাসান
বিএনপিঃ বর্জনের আহ্বান সফল হওয়ায় ভোটারদের অভিনন্দন জানালেন মঈন খান
একতরফা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনে বিএনপির আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য ভোটারদের অভিনন্দন জানিয়েছে বিএনপি।
দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. আবদুল মঈন খান দাবি করেছেন নির্বাচন বর্জনে তাদের আহ্বান সফল হয়েছে।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই দাবি করেন।
মঈন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন গত দুটি জাতীয় নির্বাচনের মতো ভোটার উপস্থিতির সংখ্যা বাড়িয়ে দেখাবে। "কিন্তু এটা আমাদের উদ্বেগের বিষয় নয়, কারণ বাংলাদেশের ভোটাররা কীভাবে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে, তা দেশের জনগণ এবং সমগ্র বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে।"
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের অনেক সমর্থকও ভোটকেন্দ্রে যাননি কারণ তারা জানতেন যে তাদের প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত।
তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগের ভোটাররা জানেন, আমাদের প্রার্থীরা পাস করেছেন এবং জয়ী হয়েছেন। কেন আমরা অযথা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সময় নষ্ট করব? আওয়ামী লীগের ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করেনি।"
ইউএনবি
অনিয়মের কারণে ২১ কেন্দ্রে ভোট স্থগিত ৭ কেন্দ্র বাতিল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা ও অনিয়মের কারণে ৬ জেলার ৯ টি আসনের ২১ কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
একই সঙ্গে নির্বাচনে অনিয়ম ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০ জনের অধিককে সাজা দেওয়া হয়েছে।
সাতটি কেন্দ্রে ভোট বাতিল হয়েছে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সন্ধায় ইসির নির্বাচনী মনিটরিং সেল থেকে এই তথ্য জানা যায়।
ইসির মনিটরিং সেল জানায়, নির্বাচন স্থগিত হওয়া কেন্দ্রগুলো হলো, সুনামগঞ্জ ২- আসনে মিরাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় (৭ নং কেন্দ্র), নোয়াগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (৫৬ নং কেন্দ্র), শুকুরনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় (৭০ নং কেন্দ্র)। কক্সবাজার ১- আসনের চরনদীপ ভূমিহীন প্রাইমারি স্কুল (২৫ নং কেন্দ্র), দক্ষীন ফুল ছুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় (৭৪ নং কেন্দ্র), মরংগুনা অসুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (৮০ নং কেন্দ্র)।
জামালপুর ৫- জাগির মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (৭০ নং কেন্দ্র)।
নরসিংদি ৪- ইব্রাহীমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৩৪ নং কেন্দ্র)। নরসিংদি ৩ - দুলালপুর সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা ( ৫ নং কেন্দ্র), ভিটিচিনাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ( ৮ নং কেন্দ্র) টাঙ্গাইল ২- কাহেতা সরকারি প্রাথমিক স্কুল ( ১৬ নং কেন্দ্র)।
কুমিল্লা- ৩- ৭৬ নং গুর্গারাম (ডি.আর) পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (৭৬ নং কেন্দ্র), ধনিরামপুর ডিডিএসওয়াই উচ্চ বিদ্যালয় ( ৮১ নং কেন্দ্র)।
কুমিল্লা ৪- সূর্য্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (৮৪ নং কেন্দ্র)।
কুমিল্লা ১১- বগৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (২৮ নং কেন্দ্র), গোবিন্দপুর সামছুল হুদা দাখিল মাদ্রাসা (৩৫ নং কেন্দ্র), ধনিজকরা সরকারি প্রাপথমিক বিদ্যালয় (৩৮ নং কেন্দ্র)। আমানগন্ডা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (৪৯ নং কেন্দ্র), হিংগুলা হাছানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় -১ (৭৪ নং কেন্দ্র)। হিংগুলা হাছানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় -২ (৭৫ নং কেন্দ্র),বাতিসা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়-১ (৮৩ নং কেন্দ্র)।
গোলাম সামদানী