চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীদের বিদ্রোহ, ব্যাপক গোলাগুলি
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বিদ্রোহ করেছেন বন্দীরা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ও রাবার বুলেটে ছোড়েন কারারক্ষীরা।
শুক্রবার (৯ আগষ্ট) দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে কোনো কয়েদি পালিয়ে যেতে পারেননি বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কারাগারে চারদিকে অবস্থান করছে সেনাবাহিনী। এছাড়া, কারাগারের ভেতরেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, দুপুরে কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এসময় বাইরে থেকেও কিছু মানুষ কারাগারের প্রধান ফটক ভাঙার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিবৃত্ত করেছেন। এ ঘটনা চলাকালে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
চট্টগ্রাম কারাগারের জেল সুপার মঞ্জুর হোসেন জানান, “বন্দীরা পালিয়ে যাওয়ার জন্য বিদ্রোহ করছে। তবে কেউ পালাতে পারেনি। সেনাবাহিনী আসায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম বলেন, “বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ঠেকাতে কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কারাগারের ভেতরে ও বাইরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।”
(এই রিপোর্টের কিছু তথ্য ইউএনবি থেকে নেয়া হয়েছে।)
বিএনপি মহাসচিব ফখরুল: ‘আওয়ামী লীগ এখন প্রতিশোধের নীলনকশা নিয়ে সক্রিয়’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন যে শিক্ষার্থী নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এখন প্রতিশোধের নীলনকশা নিয়ে সক্রিয় হয়েছে। এ বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি এই আহবান জানান। বলেন, “ক্ষমতাচ্যুত শাসকগোষ্ঠী ও তার মিত্ররা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বিজয়ী ছাত্রদের ওপর প্রতিশোধ নেয়ার নীলনকশা নিয়ে মাঠে সক্রিয় রয়েছে বলে বিভিন্ন বিশ্বস্ত সূত্র থেকে আমরা জানতে পেরেছি।”
তাদের সকল অপরাধের জন্য অন্যায়ভাবে বিএনপিসহ সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তিকে দোষারোপ করতে, ব্যাপকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব। “একটি চিহ্নিত মহল এই উদ্দেশ্য হাসিল করতে প্রতিবেশী দেশের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও নিউজ চ্যানেল ব্যবহার করছে;” তিনি যোগ করেন।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উপাসনালয় ও সম্পদকে ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করা হয়েছে। তাদের ( আওয়ামী লীগ) বর্তমান পরিকল্পনা হলো বিভেদের বীজ বপন করা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দেয়া। “তারা সকল বিজয়ী শক্তি ও জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে বদ্ধপরিকর;” বলেন তিনি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, প্রশাসন এবং সকল নাগরিক এসব বিষয়ে সজাগ থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, “আমাদের দল বিএনপি ইতোমধ্যে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।”
বিএনপির নামে কেউ এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক ও তার দোসরদের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা সম্পর্কে আমি দেশি-বিদেশি সহায়ক শক্তির পাশাপাশি দেশবাসীকে সতর্ক করতে চাই।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব।
গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে, দেশের জনগণ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব।
(এই রিপোর্টের কিছু তথ্য ইউএনবি থেকে নেয়া হয়েছে।)
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে বিসিবির অভিনন্দন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায়, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
শুক্রবার ( ৯ আগস্ট) অভিনন্দন বার্তায় বলা হয়, বিসিবি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, 'বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ জাতীয় সমন্বয়কারী আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া খেলাধুলার অগ্রগতিতে তার আবেগ ও অঙ্গীকারসহ নতুন দায়িত্বে দূরদৃষ্টি ও অনুকরণীয় নেতৃত্ব দেবেন।
বাংলাদেশের খেলাধুলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি এই পদে নিয়োগ পেয়েছেন। বিসিবি তার প্রতিটি পদক্ষেপে সাফল্য কামনা করে। বাংলাদেশে ক্রিকেটের উন্নতির জন্য অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশায় রয়েছে বিসিবি।
(এই রিপোর্টের কিছু তথ্য ইউএনবি থেকে নেয়া হয়েছে।)
সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি খোলাচিঠি
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি শুক্রবার (৯ আগস্ট) খোলাচিঠি দিয়েছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এই খোলাচিঠি তুলে ধরে। চিঠিটি পাঠ করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও।
চিঠিতে দাবী করা হয়েছে, বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতার সময় ৫২টি জেলায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দেশের সংখ্যালঘুদের মধ্যে শঙ্কা, উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, "অনেক মন্দির হামলার পর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, অনেক নারী নিগৃহিত হয়েছেন। কয়েকটি স্থানে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। আক্রান্ত হয়েছে অন্য সংখ্যালঘুরাও। মূলত ৫ আগস্ট থেকে এই সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। সারা দেশের সংখ্যালঘুদের মধ্যে গভীর শঙ্কা, উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতি আন্তর্জাতিকভাবেও বাংলাদেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আমরা অবিলম্বে এ অবস্থার অবসান চাই।"