ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানালো যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব শুক্রবার (৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বলেন, "প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে এবং এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি যুক্তরাজ্যের সমর্থন রয়েছে। আমরা আরও সহিংসতা এবং প্রাণহানি রোধে সকল পক্ষকে আহ্বান জানাই।
গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের লক্ষ্যে একটি জবাবদিহিতামূলক ও শান্তিপূর্ণ পথ বাংলাদেশের জনগণের প্রাপ্য।"
সব মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি থাকবে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে শুক্রবার (৯ আগস্ট) আলোচনা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব মন্ত্রণালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি থাকবেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানান, সহকারী উপদেষ্টা বা এরকমভাবে পদায়ন করে ছাত্রদের মন্ত্রণায়গুলোতে তদারকির সুযোগ থাকবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেছেন, "আমাদের সব মন্ত্রণালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সম্পৃক্ত থাকবেন। কীভাবে তারা সম্পৃক্ত থাকবেন, এটার কাঠামো কী হবে, এটা আমরা পরবর্তী সময়ে চিন্তা করবো।"
ঢাকার ২৯টি থানাসহ দেশজুড়ে ৪১৭টি থানায় সেনা মোতায়ন
ঢাকার ২৯টি থানাসহ দেশজুড়ে ৪১৭টি থানায় ইতিমধ্যে সেনা মোতায়ন করা হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) জানিয়েছে তাঁরা পুলিশের হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছেন।
এছাড়া, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে দেশব্যাপী ২০৬ টি ক্যাম্পের মাধ্যমে ৫৮টি জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়ন রয়েছে।
এগারো দফা দাবিতে অনড় খুলনার পুলিশ, চলছে কর্মবিরতি
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১১ দফা দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সদস্যরা।শুক্রবার (৯ আগস্ট) জুমার নামাজের পর, সম্প্রতি দেশজুড়ে সহিংসতার মধ্যে, পুলিশ হত্যার বিচারের দাবিতে শোক র্যালি করেন তারা। আর, তাদের দাবির সমর্থনে কর্মবিরতি পালন করেন।
তাদের ১১ দফা দাবিগুলো হলো”
১. বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার।
২. ৮ ঘণ্টার বেশি ডিউটি করতে বাধ্য না করা।
৩. বেশি ডিউটি করলে ওভার টাইম সুবিধা প্রদান।
৪. শুক্র ও শনিবার এবং সব সরকারি ছুটি ভোগের সুযোগ প্রদান।
৫. দেশের স্বার্থে ছুটি কাটাতে না পারলে, অতিরিক্ত কর্ম দিবস হিসেবে আর্থিক সুবিধা প্রদান।
৬. সোর্স মানি প্রদান, ঝুঁকিভাতা বৃদ্ধি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ দানে সংবিধান ও জনগণের মনের কাঙ্ক্ষিত বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া।
৭. পুলিশকে রাজনীতিমুক্ত রেখে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ নিশ্চিত করা।
৮. নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদার করে নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করা।
৯. পদোন্নতির পদক্ষেপ গ্রহণ করে বৈষম্য দূর করা।
১০. বদলির ক্ষেত্রে নিজ জেলার নিকটবর্তী জেলায় প্রাধান্য নিশ্চিত করা।
১১. পুলিশ সংস্কার আইন প্রণয়ন করা।
শোক র্যালি থেকে পুলিশ সদস্যরা বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে তারা এখনো চিন্তিত। তাই থানায় যোগ দিতে সাহস পাচ্ছেন না তারা। “সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের সহকর্মীরা মারা যাবেন; আর সিনিয়র অফিসাররা ঘরে বসে থাকবেন, এটা হবে না;” বলেন পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশকে রাজনীতিমুক্ত রেখে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ দেয়ার দাবি জানান তারা। শোক র্যালিতে কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক পদের পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
(এই রিপোর্টের কিছু তথ্য ইউএনবি থেকে নেয়া হয়েছে।)