প্রতি ডোজ ১০ ডলার মূল্যে চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা কিনছে বাংলাদেশ। যার মুল্য দাঁড়ায় বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২৭৫ কোটি টাকা। ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কিনেছিল চার ডলার মূল্যে। চুক্তি অনুযায়ী, তিন কোটি ডোজ টিকা দেয়ার কথা থাকলেও মাঝপথে তারা চুক্তি ভঙ্গ করেছে। ৭০ লাখ ডোজ সরবরাহের পর তারা অপারগতা জানিয়েছে। বলেছে, নিকট ভবিষ্যতে তারা টিকা সরবরাহ করতে পারবে না। কারণ টিকার উৎপাদন কম। তাছাড়া ভারতের চাহিদা আগে মেটাতে হবে। এরপর রপ্তানি নিয়ে ভাবা যাবে। এই অবস্থায় বাংলাদেশ অপেক্ষা না করে চীনের কাছ থেকে জরুরিভিত্তিতে দেড় কোটি ডোজ কিনছে। বৃহস্পতিবার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এই অনুমোদন প্রক্রিয়ায় সীলমোহর দিয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তার এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে তথ্য প্রকাশ করেন। বলেন, আগামী জুন, জুলাই ও আগস্টের শেষ দিকে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা আসবে।
এই মুহূর্তে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার অপেক্ষায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, আরও অপেক্ষা করতে হবে। ইতিমধ্যেই টিকা সংকটে বহু কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। টিকা না পেয়ে রাজধানীসহ সারা দেশের টিকা কেন্দ্রগুলোতে রীতিমত হাহাকার চলছে। চীন থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া টিকার একটি বড় অংশ মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, চীনের টিকার কার্যকারিতা ৫০ ভাগের বেশি নয়।করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ জন মারা গেছেন। শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৯২ জন।
ওদিকে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় সৌদি আরবের সঙ্গে ফ্লাইট চালু হয়েছে। কিন্তু কোয়ারেন্টিনের জন্য হোটেল বুকিং করতে না পারায় সমস্যায় পড়েছেন শত শত বাংলাদেশি। বিকেলের খবর- এ কারণে গত দু'দিনে এক হাজার বাংলাদেশি কর্মীর ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। বাংলাদেশ বিমান আগামী শনিবার থেকে সৌদি আরবে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে। করোনার কারণে ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে।