অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাছে বাংলাদেশ সাড়ে তিন কোটি টিকার আবেদন করেছে


বাংলাদেশে করোনা রোগীর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৫১৯ জন। এতে করে বাংলাদেশের অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে। এখন বাংলাদেশ ১৫তম স্থানে। মৃত্যুর তালিকাও প্রতিদিন দীর্ঘ হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জুলাই ও আগস্টের মধ্যে এটি একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ পর্যন্ত চার হাজার ৮২ জন মারা গেছেন।

ওদিকে করোনার টিকা নিয়ে বাংলাদেশ সুস্পষ্ট কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দিকেই চেয়ে রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী আটটি টিকা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা আগামী মাসে টিকাগুলোর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে যাচ্ছে। এই পর্যায়ে বাংলাদেশ মনে করছে, মাথাপিছু আয় যেহেতু চার হাজার ডলারের নিচে সেকারণে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতা পেয়ে যাবে। বুধবার স্বাস্থ্য দপ্তরের টিকাদান কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক শামসুল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাছে বাংলাদেশ ৯ই জুলাই আবেদন করেছে। সে অনুযায়ী ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা পাবে বলে আশা করছে।

এছাড়া বিল গেটস এর অর্থায়নে যেসব টিকা তৈরি হচ্ছে সেখান থেকেও বাংলাদেশ সুবিধা পেতে পারে। যদিও জাতীয় প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা কমিটি টিকা কেনার ব্যাপারে তাগিদ দিয়ে আসছে। কমিটি টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে থাকা সংস্থা বা দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর উপর তাগিদ দিয়েছিল। এছাড়া ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে অংশ নিতেও পরামর্শ দিয়েছে এই কমিটি। যাতে করে টিকার ট্রায়াল সফল হওয়ার পর বাংলাদেশ নিশ্চিত সুবিধা পেয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্ভাব্য সুযোগগুলো পেতে বাংলাদেশ এখনো কোন সিদ্ধান্তে পৌছতে পারেনি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ১৭২ টি দেশ কোভিক্স সুবিধা পাওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এই সুবিধা পেতে টিকার আংশিক অর্থ পরিশোধ করতে হতে পারে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ শুধুমাত্র টিকা পাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিনামূল্যে বা কমমূল্যে টিকা পাবার বিষয়টি অবশ্য নির্ভর করছে আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বৈঠকের উপর।

এই যখন অবস্থা তখন বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের টিকা উৎপাদন করতে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। দু'দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য সংক্রান্ত সাম্প্রতিক এক বৈঠকে করোনার টিকা উৎপাদনের পাশাপাশি নন- কোভিড ফার্মাসিউটিক্যালস শিল্পে বিনিয়োগের উপর জোর দেয়া হয়। বলা হয়, ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ট্রেড-রিলেটেড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস চুক্তি অনুযায়ী উন্নত মানের ঔষুধ স্বল্পমুল্যে তৈরি করা সম্ভব। করোনার টিকা উৎপাদনের পাশাপাশি অন্যান্য দেশে সক্রিয় রয়েছে এমন মার্কিন কোম্পানিগুলোর কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের প্রস্তাব দেয়া হয়। বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG