করোনায় দ্বিতীয় দফা আক্রান্তের খবরে নতুন আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ খবর আসছে। এ পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি কেস এসেছে যারা দ্বিতীয়বারের মত কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটা রীতিমত ভীতিকর। সুস্থ হয়ে ভাবছেন আর আক্রান্ত হবেন না। কিন্তু মাস খানেকের মধ্যেই তারা আবার আক্রান্ত হচ্ছেন। এর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ঢাকার স্বাস্থ্য দপ্তরে নেই। আক্রান্তদের কারও কারও মধ্যে উপসর্গ রয়েছে। অনেকের মধ্যে কোন উপসর্গ নেই। তারপরও তারা পজিটিভ। স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, এরকম খবর তাদের কাছে আসছে। প্রথমবার আক্রান্ত হয়ে ভাল হয়ে গেছেন। এক থেকে দেড়মাস পর দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করে পজিটিভ এসেছে।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশেদুল আলম দ্বিতীয় দফায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি জানান, গলায় প্রচণ্ড ব্যথা, গায়ে জ্বর। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। এর আগে গত ১৪ই জুলাই তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। দীপক মল্লিক। পেশায় একজন চিকিৎসক। দ্বিতীয় দফায় আক্রান্ত হয়ে এখন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় তার বাড়ি। প্রথমবার গত ২০শে এপ্রিল সব উপসর্গ নিয়েই আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত ২৬শে আগস্ট আবার আক্রান্ত হন। এবার কোন উপসর্গ নেই। প্রথমদিন শরীরে শুধু ব্যথা অনুভব করেছিলেন। এই সংবাদদাতাকে তিনি বলেন, কেন তিনি আক্রান্ত হয়েছেন তা তিনি বুঝতেই পারছেন না।
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিনও দ্বিতীয় দফায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ১৮ই এপ্রিল প্রথমে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দেন। অতিসম্প্রতি তিনি আবার আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য ডা. নজরুল ইসলাম মনে করেন, এটা গবেষণা করে দেখতে হবে। তবে তিনি বলেন, শরীরে পুষ্টি ও ইমিউনিটির ঘাটতির কারণেও হতে পারে।
ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে শনাক্তের হার গত সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। নমুনা পরিক্ষায় ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ করোনা ধরা পড়েছে। এর আগে গত ১৯শে মে ১৪ দশমিক ৮১ শতাংশের করোনা শনাক্ত হয়। ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ১৫৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩২ জন।
