অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিভিন্ন উৎস থেকে করোনা ভাইরাসের টিকা সংগ্রহের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার


বাংলাদেশ সরকার করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন উৎস থেকে করোনা ভাইরাসের টিকা সংগ্রহের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে আহমদ কায়কাউস এমন তথ্য জানিয়ে বলেন আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশব্যাপী গন টিকাদান কর্মসূচি পুনরায় শুরু করার প্রত্যাশা করছে সরকার। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে গত ৭ই ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণটিকাদান কর্মসূচী শুরু হওয়ার পর ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দিলে ২৬ শে এপ্রিল থেকে করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকাদান কার্যক্রম স্থগিত করে দেয় সরকার। ভারত থেকে আমদানি করা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মজুত প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৪ লাখের ওপর মানুষের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন টিকা আমদানির পাশাপাশি সরকার বাংলাদেশেও টিকা উৎপাদন করার বিষয়ে বিভিন্ন দেশের টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানি গুলোর সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, হাইব্রিড ধানের জনক অধ্যাপক ইউয়ান লংপিং স্মরণে এক অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন করোনার সংক্রমণ রোধে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে টিকা সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে তাঁর দেশ। তিনি বলেন চীনের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক বাজারে করোনার টিকার ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহযোগিতার চেষ্টা করা হচ্ছে। লি জিমিং বলেন, করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে ইতিমধ্যেই দুই দফায় ১১ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে প্রাণহানি ও সংক্রমণ দুইই বেড়েছে। আজ সরকারের দেওয়া তথ্য মোতাবেকে এই সময়ে করনায় মারা গেছেন ৬৩ জন এবং নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮৪০ জন।

XS
SM
MD
LG