অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কক্সবাজারে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না


বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যত লকডাউন করে ফেলা হয়েছে কক্সবাজারকে। ঘনবসতিপূর্ণ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেকপোস্টগুলোতে আরোপ করা হয়েছে কড়াকড়ি। জেলার প্রবেশমুখ চকরিয়ায় বসানো হয়েছে পুলিশের চেক পোস্ট। জেলার বাইরের কোন লোককে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না কক্সবাজারে। আগে থেকে যেসব পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করছিলেন, তাদের হোটেল ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে গত দুই দিন ধরে কোন পর্যটককে নামতে দেয়া হয়নি।

জেলা প্রশাসন এক জরুরী বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনস্বার্থে আজ থেকে জেলার সকল প্রকার রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সমাবেশ এবং গণজমায়েত নিষিদ্ধ করেছে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানানো হয়েছে ঐ বিজ্ঞপ্তিতে।

এই বিজ্ঞপ্তি অমান্য করে বিয়ের অনুষ্ঠান করার সময় কক্সবাজারে ২টি বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এদিকে বিদেশ ফেরতদের কঠোর নজরদারিতে রেখেছে প্রশাসন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে তৃণমূল পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে।

সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৬৩ জনকে কোয়ারিন্টিন করে রাখা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ফেরত একজন রোহিঙ্গাও কোয়ারিন্টিন অবস্থায় রয়েছে একটি আবাসিক হোটেলে।

একজন বিদেশ ফেরত বিয়ে করতে গেলে, তা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এছাড়া কোয়ারিন্টিন অমান্য করায় এ পর্যন্ত ৭ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ১৫ দিনে দুই হাজারেরও বেশি বিদেশ ফেরতদের উপর নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। জন সমাগম ঠেকাতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ভয়েস অফ আমেরিকার সাথে কথা বলেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।

সম্প্রতি বিদেশ থেকে আসা কোন ব্যক্তি ১৪দিনের হোম কোয়ারিন্টিন বা সঙ্গনিরোধ অমান্য করলে, তা প্রশাসনকে জানানোর জন্য প্রতিবেশীদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

XS
SM
MD
LG