শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে নিম্নচাপ হিসেবে শুক্রবার মধ্যরাতেরও অনেক পরে। ঐ সময় এবং শনিবার সকালে নিম্নচাপটি প্রথমে খুলনাসহ ঐ অঞ্চল হয়ে ঢাকা অঞ্চলের দিকে চলে আসে এবং আরো দুর্বল হয়ে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল এলাকায় রয়েছে বর্তমানে। রাত নাগাদ এটি আরো দুর্বল হয়ে পড়বে। আবহাওয়া দফতর এমনটাই জানিয়ে, দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে জারি করা ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করতে বলেছে।
শুক্রবার মধ্যরাতের পর এবং শনিবার সকালে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রবল বর্ষণ এবং ঝড়ো হাওয়ায় ৫ শতাধিক টিনের ও কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে এবং গাছ পড়ে নোয়াখালী, ভোলা, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, লক্ষীপুর ও ফেনীতে ২ জন শিশুসহ ৭ জন মারা গেছেন।
এছাড়া দুইদিনে কিশোরগঞ্জের ৬ জনসহ সারাদেশে কমপক্ষে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাতে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানায়, বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নেয়া প্রায় ১৩ লাখ মানুষকে বিকেলের মধ্যে নিজ নিজ বাড়ি ঘরে ফেরত যেতে বলা হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য বিভিন্ন রুটের ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে কক্সবাজারে জোয়ারের পানি বেড়েছে। এতে দূর্ভোগ বেড়েছে নিঁচু এলাকার মানুষের। তবে ফণীর আতংক শেষে স্বস্তি ফিরেছে উপকূলজুড়ে।