বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সহিংস ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার বিকেলের দিকে সুপ্রিম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের গুলিতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। মাহবুব উদ্দিন খোকন নোয়াখালী-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মহিবউদ্দিন জানান, খোকনের শরীরে ৫টি বুলেট বিদ্ধ হয়েছে।
কক্সবাজারে বিএনপি প্রার্থী হাসিনা আহমেদের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি হয়েছে। ঢাকায় বিএনপি প্রার্থী মির্জা আব্বাসের ওপর হামলা হয়েছে। আহত হয়েছেন অর্ধশত। ভোলার লালমোহনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ হয়েছে। পটুয়াখালীতে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী গোলাম মাওলা রনির স্ত্রীর ওপর হামলা হয়েছে। সিরাজগঞ্জে গত সন্ধ্যায় বিএনপি প্রার্থী রুমানা মাহমুদ পুলিশের গুলিতে আহত হন। ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, নির্বাচনের প্রচারে তারা সামান্য সুযোগও পাচ্ছেন না। প্রেসিডেন্টের সাক্ষাত চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন কামাল হোসেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা ড. কামাল হোসেনের ওপর হামলাকে দুঃখজনক বলে বর্ণনা করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ওই ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে। কামাল হোসেন শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের সঙ্গে খামোশ শব্দ ব্যবহারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, ভোটকেন্দ্র থেকে সাংবাদিকরা সরাসরি কোন খবর সম্প্রচার করতে পারবে না। বাম গণতান্ত্রিক জোটের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক শাহ আলম এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ একসঙ্গে তাদের প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট রাজধানী ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ অভিমুখে রোডমার্চ শুরু করেছে। গাজীপুর পৌঁছে জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, সরকার ভয় পেয়ে হামলা-গুলি শুরু করেছে। সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, পরিস্থিতি তৈরি হলে সেনাবাহিনী অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পারবে। ২৪শে ডিসেম্বর থেকে সেনা মোতায়েনের কথা রয়েছে।