আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি গ্যাসের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেলেও বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি গ্যাসের মূল্য ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি করার পর তা সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে।
বলা হয়েছে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটে জনগণের ওপর করারোপের মাত্রা বৃদ্ধির পর গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি অযৌক্তিক এবং জন বিরোধী। বাংলাদেশের কম্যুনিস্ট পার্টি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার দেশব্যাপী আধ বেলা হরতাল ডেকেছে। দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কোঠর সমালোচনা করে দেশ ব্যাপী বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে।
খোদ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর শীর্ষ স্থানীয় নেতারা গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সমালোচনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ফলে বাড়বে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম, যার ফলে বাড়বে জন দুর্ভোগ। তাঁরা গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ১৪ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলিপ বড়ুয়া ভয়েস অব আমেরিকার সাথে কথা বলেছেন।
গ্যাস বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্লেষকরা বলেছেন বিশ্বব্যাপী এমনকি প্রতিবেশী ভারতেও যেখানে গ্যাসের দাম কমেছে, বাংলাদেশে গ্যাসের দাম এক লাফে ৩৩ শতাংশ বাড়ানোর বিষয়টি নজিরবিহীন। বিষয়টি নিয়ে ভোক্তা সাধারণের সংগঠন কঞ্জিউমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম ভয়েস অব আমেরিকাকে একটি সাক্ষাতকার দিয়েছেন। তাঁকে প্রশ্ন ছিল- বিশ্ব বাজারে গ্যাসের দাম উল্লেখযোগ্য ভাবে কমলেও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক?
বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্লেষকরা বলেছেন, সকল দিক বিবেচনায় নিয়ে সরকারের উচিৎ হবে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা।