বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীকাল বিকেলে নয়া মন্ত্রিসভায় শপথ নেবেন এমন মন্ত্রীদের নাম ঘোষণায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘোষিত তালিকায় মহাজোটের কেউ নেই। এমনকি আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতারাও বাদের তালিকায় রয়েছেন।
৪৭ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রিসভায় ৩২ জনই নতুন। এর মধ্যে ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং ৩ জন উপমন্ত্রী রয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আগেই বলেছিলেন অপেক্ষা করুন। চমক রয়েছে সামনে। রোববার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম নজিরবিহীনভাবে একদিন আগে সম্ভাব্য মন্ত্রীদের তালিকা প্রকাশ করেন। কে কোন মন্ত্রণালয়ে যাচ্ছেন তাও জানিয়ে দেন।
মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি দু’দিন আগে বিরোধী দলে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। অসুস্থ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ হুইল চেয়ারে করে রোববার শপথ নেন। অন্য শরিক যারা নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তাদেরকে কেন মন্ত্রিসভায় নেয়া হলো না এ নিয়ে নানা প্রশ্ন।
আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, নূরুল ইসলাম নাহিদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, এএইচ মাহমুদ আলীও ছিটকে পড়েছেন। মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননও ডাক পাননি। বাদ পড়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। ১৭ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুও টেলিফোন কল পাননি।
নয়া মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আব্দুল মোমেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের ছোট ভাই ড. মোমেন। সিলেট-১ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। নয়া মন্ত্রিসভায় তথ্যমন্ত্রী হয়েছেন সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হয়েছেন ৩ জন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা কার্যত আওয়ামী লীগেরই মন্ত্রিসভা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একাই ২৫৭টি আসন পেয়েছে।