প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার পেছনে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর উস্কানি রয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা ভারত-চীন ও জাপানের সঙ্গে কথা বলেছি, এসব দেশ মনে করে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া উচিত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যেসব আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে তারা কখনও চায় না এরা ফিরে যাক।
রোববার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এই মনোভাব ব্যক্ত করেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার কারো লেখায় বাধা দেয় না। তাঁর ভাষায়- লিখুক না, যত খুশি লিখুক। লিখছে তো। আমি সবসময় মনে করি, আমার বিবেক যদি ঠিক থাকে যে, আমি সঠিক আছি, সঠিক বলছি, সঠিক করছি, সেটাই আমার কাছে বড়। তাই কে কি লিখলো সেটা বিষয় না। ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত ইস্যু সমাধানের আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নরেন্দ্র মোদি আবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। আশা করি, সমস্যাগুলো একে একে সমাধান হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঈদের সময় জঙ্গি হুমকি ছিল। গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আন্তরিক চেষ্টায় কোনো অঘটন ছাড়াই সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, একসময় মনে করা হতো- শুধু মাদরাসার ছাত্ররা জঙ্গি হয়। এখন দেখা যাচ্ছে ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্ররাও বেহেশতে যেতে হবে এ ধারণা নিয়ে মানুষ খুন করে। কোথায় লেখা আছে মানুষ খুন করলে বেহেশতে যাওয়া যাবে?