বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে সদ্য সমাপ্ত ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে যে সকল প্রস্তাব এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিশ্লেষকরা।
রোহিঙ্গাদের স্বদেশে নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে কফি আনানের সুপারিশ মালার পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং রোহিঙ্গা নির্যাতনের দায় নির্ধারণের জন্য যে সকল পদক্ষেপের বিষয়ে সম্মেলনে প্রস্তাব এবং সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তাকে বিশ্লেষকরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
তবে তাঁরা বলেছেন মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিরাজমান অনৈক্যের বিষয়টি সকলের জানা থাকায় এ সকল প্রস্তাব এবং সিদ্ধান্ত মিয়ানমারের ওপর কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাঁদের মতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বৃহদাংশই রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকলেও সমস্যার সমাধান না হওয়ার কারন হচ্ছে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের তিন শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ চিন, রাশিয়া এবং ভারত তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থের কারনে সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতা করছেনা। পুরো বিষয় নিয়ে ভয়েস অফ অ্যামেরিকার সাথে কথা বলেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হেল কাফি। (Actuality)।
তিনি বলেন সমস্যার সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার এবং এর সমাধানও করতে হবে মিয়ানমারকে এটা যেমন সত্য তেমনি সমস্যাটি যেহেতু এখন বাংলাদেশের কাঁধে এসে পড়েছে, সেহেতু ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে নেয়া প্রস্তাব এবং সিদ্ধান্ত সমূহ যাতে বাস্তবায়ন হয় সে বিষয়ে বাংলাদেশকেই সচেষ্ট হতে হবে। একই সাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাঙ্গা রাখার পাশাপাশি চিন, রাশিয়া এবং ভারতকে রোহিঙ্গা সংকট উত্তরণের জন্য সহযোগী হিসেবে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে কাজ করতে হবে বলে তিনি মনে করেন ।