বাংলাদেশে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশী কূটনীতিকদেরকে সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যত নির্বাচন নিয়ে ব্রিফ করেছেন।
স্থানীয় একটি হোটেলে ঘণ্টাব্যাপী এই মত বিনিময়কালে ড. কামাল হোসেন কূটনীতিকদেরকে কেন ঐক্য করেছেন তার বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন। বলেছেন, একটি গ্রহণযোগ্য ও সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন আদায় এবং ক্ষমতার ভারসাম্য আনার লক্ষ্য নিয়ে মূলত ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। এ সময় তিনি সাতটি দাবির কথা কূটনীতিকদের জানান। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বাতিল, গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, নির্বাচনের ১০ দিন আগে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েন। খালেদা জিয়ার মুক্তির কথাও বলেন ড. কামাল হোসেন। এছাড়া ১১টি লক্ষ্যের কথাও ব্যাখ্যা করেছেন।
ব্রিফিংকালে কূটনীতিকরা জানতে চান ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে যাবে কিনা? ক্ষমতায় গেলে ভারসাম্য ঠিক করতে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক কি হবে ঐক্যফ্রন্টের? ড. কামাল হোসেন এই প্রশ্নগুলোর জবাব দিয়েছেন। যদিও বৈঠক সম্পর্কে কোন পক্ষ থেকেই কিছু বলা হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে উপস্থিত এমন একজন নেতা বললেন, ড. কামাল হোসেন কূটনীতিকদের বলেছেন, তার জোট অবশ্যই নির্বাচনে যাবে। তবে ৭ দফা মানতে হবে। জোটের নেতা কে হবেন এই প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, যৌথ নেতৃত্বের মাধ্যমে জোট পরিচালনা করা হবে। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী- এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, সংবিধানেই এর সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, সুলতান মনসুরসহ জোটের নেতৃবৃন্দ।