বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের মধ্য থেকে আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম ধাপে প্রায় ২ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছেন মিয়ানমার। সেখানে তাদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও চলাফেরার সুযোগ দেয়া হবে। বুধবার দুপুরে রোহিঙ্গা উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন থোয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
কুতুপালং এ অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা নেতার সাথে বৈঠক করেন মিন থোয়ে। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমারের বিভিন্ন ইতিবাচক উদ্যোগ তুলে ধরেন মিনে থোয়ে। শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান, স্বাধীনভাবে চলাফেরার সুযোগ দেয়ার কথা জানান রোহিঙ্গাদের।
এসময় রোহিঙ্গারা নাগরিক অধিকারের দাবি জানান। নাগরিকতা প্রসংগে মিন থোয়ে সরাসরি কোন উত্তর দেননি। নাগরিকতার পরিবর্তে তিনি বলেছেন, “national verifications cards” - known as NVC এনভিসি কার্ডের কথা। রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, এই এনভিসি কার্ডের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বিদেশী নাগরিক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তাই তারা এনভিসি কার্ড নিয়ে মিয়ানমার যাবেন না। তখন মিন থোয়ে যাদের যথাযথ দলিলপত্র রয়েছে তাদের যাচাই বাছাই করে নাগরিকত্ব দেয়া হবে বলে জানান। বিষয়টি মিয়ানমার সরকারের উচ্চ পর্যায়েও আলোচনা করবেন বলে তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্বস্ত করেন।
বাংলাদেশে সরকারের পাঠানো ৮০৩২ জন রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়ার জন্য সনাক্ত করে মিয়ানমার। এদের মধ্য থেকে প্রায় দুই হাজার নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ফেরত নেয়ার কথা জানিয়েছেন মিন থোয়ে।
এদিকে, প্রত্যাবাসনের জন্য নতুন করে ২২ হাজার ৪৩২ জনের তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ।