শিক্ষাঙ্গনসহ দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে উচ্চ আদালতের দেয়া নির্দেশনার বাস্তবায়ন চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে।
দেশের অন্যতম মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র এই রিট আবেদনটি করেছে বলে বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান। তবে কবে নাগাদ রিট আবেদনটির ওপর আদালতে শুনানি শুরু হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু তিনি জানান নাই।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে ২০০৮ সালের ৭ই আগস্ট নারী ও শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট সালমা আলী কর্মস্থল এবং শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য দিকনির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে একটি রিট করেন। শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ই মে রায় দেয় হাইকোর্ট। খবরে বলা হয় রায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সকল প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি' গঠনসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
খবরে বলা হয় এক যুগ পেরিয়ে গেলেও ওই রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় রায়ের বাস্তবায়ন চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। রিটে রায় বাস্তবায়নে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং রায় বাস্তবায়নে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি পেশ করা হয়েছে। এছাড়া রায় বাস্তবায়নের একটি প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে জন প্রশাসনসহ ৪০টি মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়।