বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন ২৩ এপ্রিল থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু করবে। আর ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা যাতে অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে - সে ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ ও লিখিত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রামের ৩২টি উপজেলাকে বিশেষ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এসব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বা ইউএনওকে প্রধান করে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ওই সব এলাকায় ওই বিশেষ কমিটির সুপারিশ ছাড়া কারো নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার জন্য কেউ কোনোভাবে সহযোগিতা করলে ফৌজদারী আইনে মামলা করার কথাও নির্দেশনায় বলা হয়েছে। এদিকে, পুরনো তালিকায় কোনো রোহিঙ্গার নাম থাকলে তা বাদ দেয়ার জন্য নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
২০১০ সালে আবেদন করা ৫০ হাজার রোহিঙ্গাকে ওইসময় ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ২০১৩ সালের ১৭ হাজার রোহিঙ্গার নাম বাদ দেয়া হয় এবং এরপর থেকে এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।