অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বরিস জনসন পদত্যাগের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন


ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পদত্যাগের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। বলেছেন, পদত্যাগ নয় দরকার হলে নর্দমায় মরে পড়ে থাকবেন। কিন্তু ব্রেক্সিট বিলম্ব বেছে নেবেন না। কিন্তু বিলম্বের পক্ষে তার দলের ২১ সাংসদ ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। এমনকি তার ভাইও মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করে তার হেনস্থায় তীব্রতা দিয়েছেন। জনসন তার সিদ্ধান্তে এতটাই অনড় যে শুক্রবার সকালে স্কটল্যান্ডে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। দু' মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ঘড়ির কাঁটা ছুয়ে যাবে ৩১ অক্টোবরের রাত ১১ টা। ব্রিটেন বেরিয়ে যাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে। এই উপলক্ষ্যটির আগেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ১৫ই অক্টোবরে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান চেয়েছিলেন। কিন্তু সংসদে তা নাকচ হয়ে গেছে। একদল সাংবাদিকের মুখোমুখী হয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন দিতে তারও অনীহা রয়েছে, কিন্তু নির্বাচন ছাড়া উপায় কি? বিরোধী নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের শর্ত টেবিল থেকে সরিয়ে নিলেই তবে তিনি নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে রাজি। সবমিলিয়ে এক রুদ্ধশ্বাস ব্রেক্সিট নাটক চলছে ব্রিটেনে। অনেকের মতে, সংসদীয় গণতন্ত্রের জননী রুপান্তরিত হচ্ছে সকল রণক্ষেত্রের কেন্দ্রবিন্দুতে। সংসদের নিয়ন্ত্রণ বিরোধী ও বিদ্রোহী সাংসদদের হাতে চলে গেছে। তারা ব্রেক্সিট বিতর্কে অংশ নিতে সংসদে 'নিদ্রার থলে' নিয়ে অংশগ্রহণেরও চমকপ্রদ প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ওদিকে লেবার পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে শুক্রবার বলা হয়েছে, ১৫ই অক্টোবরের নির্বাচনে তারা অংশ নেবেন না। এ নিয়ে সোমবার যে ভোট হওয়ার কথা তাতে তারা এর বিরুদ্ধে ভোট দেবেন অথবা ভোটদান থেকে বিরত থাকবেন।

লন্ডন থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।

please wait

No media source currently available

0:00 0:01:10 0:00


XS
SM
MD
LG