ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর প্রশ্নে বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘসহ দাতা দেশ ও সংস্থার মধ্যে যে বিস্তর ফারাক ও মতানৈক্য ছিল- তা এখন অনেক কমে এসেছে। জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল গত মার্চে প্রথম দফা ভাসানচর পরিদর্শন করেন। এছাড়াও বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার পক্ষ থেকে ভাসানচর পরিদর্শন করা হয়। এসব সফরের ওপর ভিত্তি করে অতি-সম্প্রতি জাতিসংঘ বাংলাদেশ সরকারকে ভাসানচরের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে তাদের ইতিবাচক মনোভাবের কথা জানিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন পেশ করে। তবে দুই পাতার ওই প্রতিবেদনে চারটি শর্ত জুড়ে দেয়া হয় - যার মধ্যে বাঁধ নির্মাণসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য আরো কিছু অবকাঠামো নির্মাণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং আপদকালীন খাদ্য মজুদের মতো বিষয়গুলো রয়েছে। এ বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন খুব শিগগিরই বাংলাদেশ সরকারকে দেয়া হবে বলে ঢাকায় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ২০২১ সালের আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তাপ্রাপ্তির বৈঠক এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়নি। অন্যান্য বছরে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ সম্পর্কীত পুরো প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যেতো। ঢাকায় দাতা দেশ ও সরকারের সাথে ভাসানচরে কাজ করা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে অর্থায়নের বিষয়ে জাতিসংঘ সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে। তবে বাংলাদেশ আশাবাদী যে, ভাসানচরসহ পুরো রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের জন্য অর্থ সহায়তার ব্যবস্থা করবে জাতিসংঘসহ দাতা দেশ ও সংস্থাগুলো।