ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশে লেনদেন আইনসিদ্ধ নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক আবারও জানিয়ে দিয়েছে যে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন আইনসিদ্ধ নয়। ব্যাংকের তরফে বলা হয়েছে, কোনো ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত নয়। অতি সম্প্রতি ঢাকার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি অপরাধ নয়, মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংকের বরাতে একটি রিপোর্ট প্রকাশ হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে বলা হয়, ক্রিপ্টোকারেন্সির মালিকানা সংরক্ষণ বা লেনদেন স্বীকৃত না হলেও এটিকে অপরাধ বলার সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য যে, ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা ও এ নিয়ে প্রচারণার অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সিআইডি এমন দুটি মামলার তদন্ত করছে। এর সূত্র ধরেই সংস্থাটি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ বিষয়ে মতামত চেয়েছিল। ব্যাংক বলেছে, একটি নির্দিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার গোপনীয় ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি চিঠি পাঠায়। কিন্তু খণ্ডিতভাবে ওই চিঠি উপস্থাপিত হয়েছে। যেটা কোনোভাবেই প্রচারযোগ্য হতে পারে না। ২০১৭ সালের ১৪ই ডিসেম্বর গণমাধ্যমে এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, বিটকয়েন লেনদেন না করার জন্য। সেই বিজ্ঞপ্তি এখনো বহাল আছে জানিয়ে ব্যাংক বলেছে, ভার্চুয়াল মুদ্রার ব্যবহার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৪৭, সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর দ্বারা সমর্থিত হয় না। অনলাইনে নামবিহীন বা ছদ্মনামধারী প্রতিসঙ্গীর সঙ্গে লেনদেনে অনিচ্ছাকৃতভাবে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধবিষয়ক আইন লঙ্ঘন হতে পারে।
অনলাইনের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সির সংখ্যা এখন আট হাজারেরও বেশি। এগুলোর মধ্যে বিটকয়েন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। বর্তমানে একটি বিটকয়েন ৩৩ হাজার ডলারের বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ২০০৮ সালে এই মুদ্রা উদ্ভাবন করা হয়। এ পর্যন্ত বিশ্বের কোন আইনসঙ্গত কর্তৃপক্ষ এ মুদ্রাকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে জাপান, সিঙ্গাপুর, আরব-আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো কয়কেটি দেশ এ মুদ্রাকে বৈধভাবে লেনদেনের উদ্যোগ নিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনসঙ্গত ঝুঁকি এড়াতে যেকোনো ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন থেকে বিরত থাকার জন্য সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ জানিয়েছে ।