অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ঢাকায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট, লকডাউন বাড়লো আরও এক সপ্তাহ


ঢাকায় পৌঁছে গেছে এই সময়ের সবচেয়ে ভয়ংকর ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। এই ভাইরাসটি , কোনো লক্ষণ ছাড়াই মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। প্রায় ৫০টি দেশে ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের উপস্থিতির খবর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ঢাকায় ডিএনসিসির কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভারতফেরত দু’জন রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার পর তাদের শরীরে করোনার সন্ধান পাওয়া গেছে। হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, এদের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করে বলা যাবে পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর। আইইডিসিআরের গবেষকরা এ নিয়ে গবেষণা করছেন।

ঢাকায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট, লকডাউন বাড়লো আরও এক সপ্তাহ
please wait

No media source currently available

0:00 0:02:37 0:00
সরাসরি লিংক

ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা দেশে ফেরার জন্য রীতিমত আহাজারি করছেন। তাদের অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। হাতে টাকা পয়সাও নেই। বিমান চলাচল বন্ধ। সড়কপথেও সীমান্ত বন্ধ রয়েছে অনেকদিন। আপাতত বিশেষ ব্যবস্থায় তিনটি স্থল বন্দর দিয়ে এক হাজার বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামীকাল চুয়াডাঙ্গার দর্শনা স্থল বন্দর দিয়ে ৩০০ বাংলাদেশি দেশে ফিরছেন। শনিবার চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ফেরার পর তাদের সবার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হবে। করোনা পজিটিভ হলে হাসপাতালে পাঠানো হবে। এর আগে সবার পাসপোর্ট পুলিশের জিম্মায় রাখা হবে। যশোর সদর হাসপাতাল থেকে সাতজন ভারত ফেরত করোনা রোগী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রশাসন সতর্ক হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি আনসার মোতায়েন করা হবে হাসপাতালে।

লালমনিরহাটের বুড়িমারী সীমান্তে ৪৪ জন শিক্ষার্থী দুই সপ্তাহ যাবৎ কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। তাদের অভিযোগ, নমুনা নেয়ার ১৪ দিন পরও কোনো রিপোর্ট না আসায় তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। এরা সবাই পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করছে।

চলমান লকডাউন আগামীকাল থেকে আরও এক সপ্তাহের জন্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এটা নিশ্চিত করেছেন। লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কারণে ২৩শে মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ২৩ শে মে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে।

ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ২২ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ২৬১ জন।

XS
SM
MD
LG