অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে লক-ডাউন চলাকালে কলকারখানা খুলে দেয়ার আবেদন মালিকদের


বাংলাদেশের জুট মিল
বাংলাদেশের জুট মিল

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে সারা বাংলাদেশ ব্যাপী বর্তমানে চলতে থাকা কঠোর লক ডাউনের মধ্যেই পোশাক শিল্পসহ সব ধরনের কল কারখানা খুলে দিতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন শিল্প মালিকরা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে এই অনুরোধ জানান বিভিন্ন খাতের শিল্প মালিক ও ব্যবসায়ীদের সংগঠনের নেতারা। করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে গত ২৩ শে জুলাই থেকে দুই সপ্তাহের কঠোর লক ডাউন শুরু হলে সরকারি-বেসরকারি সকল অফিস, দোকান-পাট, সকল ধরনের পরিবহন এবং কল কারখানা বন্ধ করার পাশাপাশি মানুষের চলাচলের ওপরও বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়।

সচিবালয়ে বৈঠকে শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এর সভাপতি ফারুক হাসান সাংবাদিকদের বলেন লক ডাউন চলাকালে সব ধরনের শিল্প কারখানাকে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এসেছি। করোনা পরিস্থিতি, সংক্রমণ, মৃত্যু সবকিছু মাথায় নিয়ে সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকার এটা বিবেচনা করবে।

অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বলেন আন্তর্জাতিক বাজার হারানোর শঙ্কা, সরবরাহের ধারাবাহিকতা ভেঙে পড়া, বন্দরে জট, সার্বিক অর্থনীতিসহ সবকিছু বিবেচনা নিয়েই তারা এ অনুরোধ জানাতে বাধ্য হয়েছেন। কল কারখানার শ্রমিকদের দ্রুত টিকা দেয়ার জন্যও সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও জানান তাঁরা।

এদিকে, সরকার বৃহস্পতিবার থেকে করোনা ভাইরাসের টিকা নেয়ার বয়স সীমা আরও এক ধাপ কমিয়ে ২৫ বছর করেছে । এর আগে কয়েক ধাপে টিকা নেয়ার বয়স সীমা ৩০ বছরে নামানো হয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশেদ আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন সবাইকে টিকার আওতায় আনতে ধারাবাহিকভাবে বয়স সীমা কমিয়ে আনা হচ্ছে এবং ধাপে ধাপে তা ১৮ বছর করা হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আজ জানিয়েছে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৩৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ১৫,২৭১ জন।

অপরদিকে, সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯৪ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা একদিনে এটাই সর্বোচ্চ। বিবৃতিতে বলা হয় দেশে এই বছরে পহেলা জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত ২২৯২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৬৬৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।

XS
SM
MD
LG