সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সব হলের শিক্ষার্থীদের সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমান প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা স্বাস্থ্যগত কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন বলেও জানা গেছে।
এর আগে রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও পুলিশসহ ৩০ জন আহত হন। পরে উপাচার্যকে মুক্ত করে বাসায় পৌঁছে দেয় পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার থেকে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগসহ তিন দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত আড়াইটার দিকে উপাচার্যের আশ্বাসে হলে ফিরে যান তারা।
এরপর শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী তাদের ওপর হামলা চালায়।
তিন দাবি আদায় এবং চলমান আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আলমগীর কবির, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মহিবুল আলম।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে হলের গুণগত মান উন্নত এবং অব্যবস্থাপনার সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাত দিনের সময় চান। কিন্তু তিন দফা দাবি না মানায় শিক্ষার্থীরা বর্ধিত সময় দিতে রাজি হননি।
এক পর্যায়ে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ তাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করে।