দেশের বিচার ব্যবস্থায় স্পেশাল টেররিস্ট অ্যান্ড ডিসরাপটিভ অ্যাক্টিভিটিস (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট -এই আইনেই দেশের টাডা আদালতে ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত আবু সালেম এবং এই নাশকতার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল দাউদ ইব্রাহিম ঘনিষ্ঠ আরও পাঁচ জন। তবে প্রমাণের অভাবে এক অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিতে বাধ্য হয়েছে আজ টাডা আদালত। ঘটনায় আবু সালেম ছাড়া দোষী সাব্যস্ত আরও পাঁচজন হল মুস্তাফা ডোসা, তাহির মার্চেন্ট, করিমুল্লা খান, ফিরোজ আবদুল রশিদ।খালাস আবদুল কায়ুম নামে আরেক অভিযুক্ত। প্রসংগত বলা যেতে পারে উন্নিশো তিরানব্বই সালে মুম্বই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় দুশো সাতান্ন জনের। আহত হন সাতশোরও বেশি। নষ্ট হয় সাতাশ কোটি টাকার মোট সম্পত্তি।
মামলার প্রথম পর্যায়ে একশো জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।আবদুল কায়ুমকে এই মামলার সঙ্গে সমস্ত অভিযোগ থেকে অব্যহতি দিয়ে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।আদালত মনে করে এই বিস্ফোরণের মূল চক্রীরা হল আবু সালেম, মুস্তাফা ডোসা, তাহির মার্চেন্ট এবং ফিরোজ খান। দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ছক কষেছিল দোষীসাব্যস্তেরা এমনই মন্তব্য টাডা আদালতের। তবে আদালতে আইনজীবীরা রিয়াজের বিরুদ্ধে আনা চক্রান্তের অভিযোগের যথেষ্ট প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি।তবে আদালতের এই রায় ঘোষণার পর বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্থ কীর্তি আজমেরার দাবি বিচার দেরিতে হলে আর সুবিচার হয় না। তাঁরা এতদিন পর্যন্ত মারাত্মক ভুগেছেন। আবু সালেমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ফাঁসি হওয়াই উচিৎ বলেই কীর্তি আজমেরার দাবী।