অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কারখানার মালিক গ্রেপ্তার: অগ্নিকান্ডে ৫২ জনের প্রাণহানি


কারখানার আগুনে পুড়ে ৫২ জনের মৃত্যুর পর শনিবার হত্যার দায়ে ঐ কারখানার মালিক এবং আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গেছে সেখানে ১১ বছরের শিশুরাও কাজ করতো। পুলিশ বলছে বৃহষ্পতিবারের ঐ অগ্নিকান্ডের পর, আজ যে আট জনকে আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে আবুল হাশেম এবং তাঁর চার ছেলে রয়েছে। ঐ খাদ্য কারখানায় শিশু শ্রমের ব্যাপারে পৃথক একটি তদন্ত শুরু হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ প্রধান জায়েদুল আলম জানান যে অগ্নিকান্ডের সময়ে প্রবেশ পথের দরজাটিতে তালা লাগানো ছিল এবং ঐ কারখানাটি একাধিক সুরক্ষা আইন লংঘন করেছে।পুলিশ প্রধান এএফপিকে বলেন, “এটি ইচ্ছাকৃত হত্যার ঘটনা”। আটক আটজনের সকলেই হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। গ্রেপ্তারের আগে হাশেম, দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকাকে বলেন এই অগ্নিকান্ড , “ শ্রমিকদের অবহেলার কারণে ঘটতে পারে । তিনি এ রকম আভাস দেন যে ফেলে দেয়া জ্বলন্ত সিগারেটও এই আগুনের কারণ হতে পারে।

জরুরি পরিষেবার লোকেরা ঢাকার অদূরে শিল্পনগরী রূপগঞ্জের হাশেম ফুড এন্ড বেভারেজ কারখানার তিন তলায় ৪৮টি অগ্নিদগ্ধ দেহ দেখতে পায়। দমকল বিভাগ বলছে প্রধান সিঁড়িতে যাবার পথে প্রস্থানের দরজাটি তালাবদ্ধ ছিল এবং মারাত্মক সা দাহ্য পদার্থ যেমন রাসায়নিক পদার্থ এবং প্লাস্টিকের জিনিষপত্র ঐ ভবনে মওজুদ ছিল। শ্রম দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন ঐ কারখানায় শিশু শ্রমিকদের নিয়োগের ব্যাপারে তদন্তকাজ শুরু হয়েছে।

শনিবার ঐ অগ্নিদগ্ধ কারখানাটি পরিদর্শন করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি এই বিয়োগান্তক ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন । তিনি বলেন এ নিয়ে তদন্ত চলছে এবং তদন্তে যে বা যারাই দোষী সাব্যস্ত হবে তাকে অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।

XS
SM
MD
LG