অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভ্যাকসিন সংকটের মুখে দেশে আটকা পড়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা


বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গড়তে যাদের মুখ্য ভূমিকা সেই প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখন কঠিন বিপদে। ভ্যাকসিন সংকট তাদের জন্য বড় বিপদ ডেকে এনেছে। বিদেশে যাওয়া প্রায় বন্ধ। ভ্যাকসিন সনদ ছাড়া বিমানে আরোহণ করা সম্ভব না। এরমধ্যে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের বাড়তি খরচ। এর ফলে জনশক্তি রপ্তানিতে নতুন সংকট দেখা দিয়েছে। শুরুতে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়া হবে এমন কথা বলা হয়েছিল। বাস্তবে এটা হয়নি। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)বলেছে, করোনার আগে বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রতিমাসে ৬০ হাজারের কাছাকাছি শ্রমিক বিদেশে যেতেন। এখন কয়েক হাজারে নেমে এসেছে। অনেকের নিশ্চিত চাকরি ছিল। করোনাকালে দেশে ফিরে আর যেতে পারছেন না। এমন প্রবাসীর সংখ্যা কয়েক হাজার। এরমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ। সৌদি এয়ারলাইন্স চালু থাকলেও নানা জটিলতায় অনেক প্রবাসী যেতে পারছেন না। জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান জেপি ইন্টারন্যাশনালের কর্নধার জামাল হোসেন জানান, ভ্যাকসিন সমস্যায় অনেক প্রবাসী আটকা পড়েছেন। অনেকে এক ডোজ নিয়ে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায়। ভ্যাকসিন সমস্যার সুরাহা না হওয়ায় অনেক প্রবাসীর ঘুম হারাম হয়ে গেছে। বায়রা'র সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেছেন, ভ্যাকসিন সংকট জনশক্তি রপ্তানি খাতকে এক চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

ভ্যাকসিন সংকটের মুখে দেশে আটকা পড়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা
please wait

No media source currently available

0:00 0:02:16 0:00
সরাসরি লিংক

ব্র্যাকের অভিবাসন দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। এরমধ্যে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী হয় ভ্যাকসিন নাহয় ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় দেশে আটকা পড়েছেন। হোটেল, রেস্তরাঁর মালিক-শ্রমিকরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, হয় রেস্তরাঁ পুরোপুরি খুলে দিন নাহয় প্রণোদনা দিন। দেশে ৬০ হাজার হোটেল, রেস্তরাঁ রয়েছে। এর সঙ্গে প্রায় ৩০ লাখ শ্রমিক-কর্মচারী যুক্ত আছেন। তারা বলেন, হোটেল, রেস্তরাঁ খোলা থাকলেও কেউ সেখানে বসে খেতে পারেনা। শুধু খাবার কিনে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এতে করে হোটেল, রেস্তরাঁগুলো মরে যাচ্ছে প্রায়।

ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু বেড়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, এসময় ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ২৮ জন।

XS
SM
MD
LG