আজ বসন্ত, আজ দোল। আকাশে বাতাসে উড়ছে আবির…আর নষ্ট্যালজিক বাঙালী বসন্তের আবহে হাতে কিম্বা মাথায় পলাশের মালা লাগিয়ে সকলেই যেন হাজির হয়েছেন রাজ্যের বীরভূম জেলায় গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন দোল উৎসবে নিজেদের রাঙিয়ে নিতে। কিন্তু যারা এখানে হাজির হন কিসের টানে তাদের প্রতি বছর আসা। কোন ভালো লাগা কোন ঐতিহ্য তাদের কে বার বারই বসন্তের শান্তিনিকেতনে টেনে আনে শুনে নি এমনই এক জনের কাছথেকে যিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রেজিষ্টার ডক্টর অমিত হাজরা। যদিও একই চিত্র ছিল রাজ্যের আরেক জেলা নবদ্বীপের মায়াপুরে , সেখানেও অসংখ্য মানুষ ভিড় জমিয়েছেন দোল উৎসবে অংশ নিতে ।
এই দোল উৎসবের ইতিহাসটাই বা কি শুনে নেব সমাজ গবেষক পল্লব মুখোপাধ্যায়ের কাছে পাশাপাশি গোটা রাজ্যেরই শহর নগর গ্রামেও সেই একই চিত্র ছিল কোথাও বসন্তের গানে প্রভাত ফেরীর মধ্যদিয়ে দিনটি উদযাপিত হয়েছে, কোথাও বা একেবারে মঞ্চ বেধেঁই একেবারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনের মধ্য দিয়েই বসন্ত উৎসব পালিত হল। একটু অন্যভাবে যদিও বসন্ত উৎসবে নিজেদের দুদিন আগেই সাজিয়ে তুলেছিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা আবীরের রঙে। আজ আর দোল উৎসবের আনন্দে আবাল বৃদ্ধ বনিতা সারাদিনই নিজেদের আবীরের রঙে রাঙিয়ে নিলেন, সংগেতো ছিলই পেট পুরে খাওয়া আর উপরি পাওনা কোথাও গান কোথাও কবিতা আবার কোথাও বসন্ত উৎসব পালিত হল প্রভাত ফেরীর মাঝেও ।
এমনই এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ভারতের লোকসভার সাংসদ অধ্যাপক সৌগত রায়, তিনি জানালেন তাঁর প্রতিক্রিয়া- সর্ব্বোপরি সবাই কি বলে আজ এই দোলের দিনে শুনেনি তাদের কথা বলা যায় মাসের প্রথম দিনটি নো টেনশন আমেজেই আজ গোটারাজ্যেই ঠিক এরকম ভাবেই সারম্বরে পালিত হল বসন্ত উৎসব। আর সেই সঙ্গে কোথাও যেন কোনো অশান্তির বাতাবরন তৈরী না হয় সে জন্য গোটাদিনই ছিল রাজ্য পুলিশ প্রশাসন সদাসর্তক।