সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী সোমবার ভোর চারটা থেকে আর কোনো দেশ থাকছে না ব্রিটেনের লাল তালিকায়। বিশ্বজুড়ে কোভিড মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর ব্রিটেন কড়াকড়ি আরোপ করে।
কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে ব্রিটিশ সরকার প্রথমে ট্রাফিক লাইট পদ্ধতি চালু করে। লাল, অ্যাম্বার ও সবুজ এই তিন রঙে বিশ্বের দেশগুলোকে ভাগ করা হয়। সবথেকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে রাখা হয়েছিল লাল তালিকায়।
ব্রিটিশ পরিবহনমন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস জানিয়েছেন, লাল তালিকায় থাকা সর্বশেষ সাতটি দেশকে এ তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে- কম্বোডিয়া, ডমিনিক্যান রিপাবলিক, ইকুয়েডর, হাইতি, পানামা, পেরু ও ভ্যানিজুয়েলা।
সোমবার থেকে এসব দেশের নাগরিকদের ব্রিটেন প্রবেশের পর আর বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন করতে হবে না। তবে এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে, অবশ্যই তাদেরকে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। পরিবহনমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে পদক্ষেপ হিসেবে লাল তালিকার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হবে। এখন থেকে প্রতি তিন সপ্তাহে একবার এই লাল তালিকা পর্যালোচনা করা হবে। যদি মনে করা হয় কোনো দেশে সংক্রমণ বেশি তখন আবার লাল তালিকাভুক্ত করা হবে।
মন্ত্রী আরও জানান, সোমবার থেকে আরও ৩০টি দেশ ও অঞ্চলকে ব্রিটেনের ইনবাউন্ড টিকা নীতিতে যুক্ত করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে আর্জেন্টিনা, তানজানিয়া, কম্বোডিয়া, পেরু ও উগান্ডার মতো দেশ। এ নিয়ে যুক্ত হবে ১৩৫টি দেশ। এসব দেশ থেকে অনুমোদিত ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণ করলে তাকে ব্রিটেন প্রবেশে অতিরিক্ত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে না। প্রয়োজন হবে না হোম আইসোলেশনে থাকার। তবে ব্রিটেন প্রবেশের পর দ্বিতীয় দিনে কোভিড পরীক্ষা করতে হবে। আর যারা ভ্যাকসিন নেননি তাদের ৭২ ঘণ্টা আগে কোভিড টেস্টের প্রয়োজন হবে। একইসঙ্গে দ্বিতীয় এবং অষ্টম দিনে পিসিআর টেস্ট করতে হবে।