অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শনিবার বিকেলেই শেষ হল পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটের প্রচার


আজ শনিবার বিকেলেই শেষ হল রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটের প্রচার। এরপর আর ফেসবুকে বা অন্যত্র কোনও প্রচার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

সেই সঙ্গে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোট সাতচল্লিশ হাজার চারশো একান্নটি বুথের মধ্যে আঠেরো শতাংশ স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে এগারো শতাংশ অতি স্পর্শকাতর এবং সাত শতাংশ কম স্পর্শকাতর। অর্থাৎ আট হাজার ছশো চল্লিশটি বুথ স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে প্রতি বুথেই একজন করে সশস্ত্র পুলিস এবং একজন করে লাঠিধারী কনস্টেবল থাকবেন।

যে সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে দুটি বুথ থাকবে, সেখানে দু’জন সশস্ত্র পুলিস ও দু’জন লাঠিধারী কনস্টেবল থাকবে। তিনটি বুথের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে থাকবে তিনজন সশস্ত্র পুলিস এবং তিনজন লাঠিধারী কনস্টেবল। অর্থাৎ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যে ক’টি বুথ থাকবে, সেই সংখ্যায় সশস্ত্র পুলিস এবং লাঠিধারী কনস্টেবল থাকবে।

এবারের পঞ্চায়েত ভোটে সর্বাধিক ছ’টি বুথের ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থাকছে। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে তিন পর্যায়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। প্রাথমিক স্তরে বুথে, দ্বিতীয় স্তরে সেক্টর অফিস এবং তৃতীয় স্তরে ক্যুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) থাকবে। ভোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিং। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য, রাজ্য পুলিসের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মা। সেখানেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

কমিশনার তাঁদের নিরাপত্তা জোরদার করতে বলেন। রাজ্য পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চারটি রাজ্য থেকে আঠেরো কোম্পানি সশস্ত্র পুলিস আসছে। সিকিম থেকে চার কোম্পানি এবং তেলেঙ্গানা থেকে দুই কোম্পানি, ওড়িশা থেকে দুই কোম্পানি এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এক হাজার পুলিস কর্মী আসছে। প্রসংগত বলা যেতে পারে অনেক আইনী জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত আগামী চোদ্দই মে রাজ্য ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

please wait

No media source currently available

0:00 0:01:00 0:00

XS
SM
MD
LG