অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও খুনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ১১ আসামীর মুক্তি: বিস্মিত লোকজন


দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের সাজা হ্রাসের সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে সক্রিয়কর্মীরা স্লোগান দিচ্ছেন, ১৮ আগস্ট ২০২২।
দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের সাজা হ্রাসের সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে সক্রিয়কর্মীরা স্লোগান দিচ্ছেন, ১৮ আগস্ট ২০২২।

ভারতে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও খুনের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন আসামীকে মুক্তি দেওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অপরদিকে, ধর্ষণের শিকার নারী সিদ্ধান্তটি বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন যে, এমন ঘটনা ন্যায়বিচারের উপর তার বিশ্বাসকে নাড়া দিয়েছে।

দুই দশক আগে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের গুজরাট রাজ্যে ঘটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময়ের জঘন্যতম ঘটনাগুলোর একটি ছিল, বিলকিস বানু ও তার পরিবারের উপর হওয়া হামলাটি। বানু সে সময়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাকে নির্মমভাবে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। তার ৩ বছরের কন্যাসন্তান সহ তার পরিবারের অপর সাত সদস্যকেও খুন করা হয়েছিল।

ঘটনার জন্য দায়ী ১১ ব্যক্তি সোমবার গুজরাটের গোধরা শহরের কারাগার থেকে মুক্তি পান। এর আগে রাজ্য সরকার তাদের সাজা হ্রাসের আবেদন মঞ্জুর করে। ভারতের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের দিনই তারা কারামুক্তি পান।

ঐ মুসলিম নারী বানুর বয়স বর্তমানে ৪০ এর কোঠায়। তিনি গুজরাটের সরকারের কাছে আবেদন করেন যাতে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করা হয় এবং তাকে “ভয়হীনভাবে ও শান্তিতে বেঁচে থাকার তার অধিকার” ফিরিয়ে দেওয়া হয়। গুজরাট রাজ্যে বর্তমানে হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতাসীন রয়েছে।

বুধবার দেওয়া এক বিবৃতিতে বানু বলেন, “যখন আমি শুনি যে আমার পরিবার ও আমার জীবন ধ্বংস করে দেওয়া ১১ জন দোষী ব্যক্তি মুক্তি পেয়েছে, তখন আমি আমার ভাষা হারিয়ে ফেলি। আমার এখনও নিজেকে অবশ লাগছে।”

তবে, শুধু যে দোষী ঐ ১১ ব্যক্তির মুক্তির কারণেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে তা নয়। বরং তাদের যেভাবে কারাগারের বাইরে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে সেটিও ক্ষোভের একটি কারণ।

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায় যে, আত্মীয়স্বজনরা তাদেরকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন ও তাদের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দিচ্ছেন এবং তাদের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিচ্ছেন।


XS
SM
MD
LG