বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, “দু’দিন আগে জাতীয় পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয়ের সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।” এ ঘটনায় বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা ব্ল্যাকআউটের কবলে পড়ে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, যখন দেশের পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুতের ঘাটতি ও পশ্চিমাঞ্চলে উদ্বৃত্ত হয়েছে, ঠিক তখনই ট্রান্সমিশন সিস্টেম বিকল হয়ে গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।”
প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন, পাওয়ার প্ল্যান্ট হিসেবে, প্রথম ঘোড়াশাল স্টেশনে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়। এতেই ব্যাপক আকারে বিদ্যুৎ বিপর্যয় শুরু হয়। এ বিষয়ে পিজিসিবি (পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ) গঠিত একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে এবং বিদ্যুৎ বিভাগও অনুরূপ উদ্যোগ নেবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, “গ্রিড বিপর্যয় নাশকতা কি-না, সে বিষয়েও তদন্ত করা হবে।”
অটোমেশনের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, “কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে আমরা অনেক পিজিসিবি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আমরা তফসিল বাস্তবায়নে দুই বছর পিছিয়ে আছি। আমরা আশা করি, আগামী দুই বছরের মধ্যে আমরা অটোমেশন প্রকল্পটি শেষ করতে সক্ষম হব এবং এরপর এ ধরনের গ্রিড বিপর্যয়ের সম্ভাবনা হ্রাস পাবে।”
বিদ্যুৎ বিভাগের তদন্ত কমিটি গঠন
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেবেন।
কমিটিতে থাকছেন; বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল মাঈদ, বাংলাদেশের ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর প্রতিনিধি, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) প্রতিনিধি, পিজিসিবির সদস্য মো. আমীর খসরু। সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিটি গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ চিহ্নিত ও বিশ্লেষণ করবে এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করবে। কমিটি তদন্ত কাজের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোনও ব্যক্তিকে কো-অপ্ট করতে পারে এবং ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে।