শনিবার ১৩ মে সকালে পোস্টাল ব্যালট গণনায় যখন কংগ্রেসের এগিয়ে থাকার বার্তা পাওয়া গিয়েছিল, তখনই রাহুল গান্ধীর ছবি দিয়ে ট্যুইট করে দেয় কংগ্রেস । তাতে লেখা ছিল, আমি অজেয়, আমি আত্মবিশ্বাসী। আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না।
দুপুর আড়াইটে নাগাদ কর্নাটকে কংগ্রেসের বিপুল জয়ের ছবি স্পষ্ট হতে চব্বিশ নম্বর আকবর রোডের উঠোনে চলে আসেন রাহুল। পরনে সাদা হাফ স্লিভ পোলো টি শার্ট। মুখে এক গাল কাঁচা পাকা দাঁড়ি। কর্নাটকের জয় নিয়ে তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় রাহুল বলেন, “বিজেপি পুঁজিপতিদের সঙ্গে নিয়ে লড়েছিল। আমরা গরিব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে লড়েছি। কর্নাটকের জয়ে একটা ব্যাপার স্পষ্ট। তা হল মানুষ ঘৃণার রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কর্নাটকে ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়ে গেছে, প্রেম ভালবাসার দোকান খুলেছে”।
অভিজ্ঞ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অভিমত, শিবকুমার, সিদ্দারামাইয়া বিজেপির বিরুদ্ধে মুখোমুখি লড়াইয়ের যে মেজাজ গত পাঁচ বছর ধরে দেখিয়েছেন, তার বিকল্প নেই। কিন্তু তা যেমন ঠিক, তেমনই এও ঠিক যে পিছনে থেকে রাহুল তথা গান্ধী পরিবার এই লড়াইয়ে সমস্ত শক্তি ঢেলে দিয়েছিল। রাহুল গান্ধী তাঁর ভারতজোড়ো যাত্রার সময়ে দীর্ঘ দিন কাটিয়েছেন কর্নাটকে। সেখানকার কর্মীদের উজ্জীবিত করেছেন। ফলে কর্নাটকের জয়ে কিছু সাফল্য তাঁরও রয়েছে। এবার কর্নাটক কংগ্রেসকে যে জয়ের পথে ফিরিয়েছে, কংগ্রেসকে যে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে, তা সামনে রেখে কংগ্রেসকে অন্য রাজ্যেও প্রাসঙ্গিক করার বড় চ্যালেঞ্জ এখন রাহুলের সামনে।
রাহুল এদিন আরও বলেন, "কর্নাটকের মানুষের সামনে দু’টো অপশন ছিল। এক, একদিকে ছিল ধান্দার ধনতন্ত্র (ক্রোনি ক্যাপিটালিজম) আর অন্যদিকে ছিল মানুষের রুটি-রুজির নিশ্চিয়তা করার বিষয়। মানুষ নিজের অধিকারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এটা মানুষের সম্মিলিত শক্তির জয়।"
কংগ্রেস নেতার কথায়, "দু’জনের ক্ষমতাকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন।" এই দু’জন বলতে রাহুল মোদী-শাহ নাকি মোদী-আদানি বোঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। তবে যেভাবে এদিন রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের রেশ ধরে অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন তিনি ফের আদানি ইস্যু উস্কে দিতে চেয়েছেন।