অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে বদলে যাচ্ছে ‘বিপর্যয়’। ভারতের মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ৩৬ ঘণ্টায় শক্তি আরও বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে এই ঘূর্ণিঝড়। ১৭০-১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে। এর অভিমুখ হবে ভারতের গোয়া উপকূলের দিকে। বিধ্বংসী রূপ নিতে পারে এই সাইক্লোন বিপর্যয়, এমনটাই অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই মুহূর্তে সাইক্লোন ‘বিপর্যয়’ পূর্ব-মধ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে অবস্থান করছে। আগামী কয়েক ঘণ্টায় সেটি উত্তরের দিকে এগোবে। সাইক্লোনের অবস্থান এখন গোয়ার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল থেকে ৮৪০ কিলোমিটার দূরত্বে ও মুম্বই থেকে ৮৭০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে।
ঝড়ের প্রভাব বেশি পড়বে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ উপকূলে। আগামী ৩-৪ দিন সাগরের মধ্যে হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ১৩৫-১৪৫ কিলোমিটার থেকে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত। গুজরাতের মৎস্যজীবীদের ১৪ জুন পর্যন্ত আরব সাগরে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে ‘বিপর্যয়’। আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, এই সাইক্লোনের গভীর প্রভাব পড়তে পারে পাকিস্তানের করাচিতেও। বর্তমানে করাচি থেকে ১৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে বিপর্যয় ঘূর্ণিঝড়। ভারতের আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, মহারাষ্ট্র, গোয়া এবং গুজরাতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে। উত্তর কেরল, কর্নাটক, গোয়া উপকূলে মূলত তাণ্ডব চালাবে সাইক্লোন।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমের রাজ্যগুলির উপকূলে আগামী পাঁচদিন দিনভর ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সাইক্লোনের জেরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ গুজরাত এবং সৌরাষ্ট্র উপকূলে।