ইউনিফর্ম সিভিল কোড বাস্তবায়ন বিবেচনা করার জন্য ভারত সরকারের বাহ্যত একটি চাপ জনমানসে এই উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে যে, শাসক দল সাম্প্রদায়িক লাইনে সমাজকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। ইউনিফর্ম সিভিল কোড বা ইউসিসি মূলত সমস্ত ভারতীয় নাগরিকের জন্য ব্যক্তিগত আইনের একটি অভিন্ন ধারা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত সপ্তাহে বলেছিলেন, দেশটি “পৃথক সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক আইন” এর দ্বৈত ব্যবস্থায় চলতে পারে না এবং গণ মাধ্যমে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে পরামর্শ দেয়া হয়েছে যে, সরকার শীঘ্রই সংসদে ইউসিসি বাস্তবায়নের বিবেচনার জন্য অগ্রসর হতে পারে। বিরোধী নেতারা এটিকে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির একটি চক্রান্ত বলে অভিহিত করেছেন।
বিভিন্ন ধর্মের ভারতীয় নাগরিকরা বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, সম্পত্তির উত্তরাধিকার এবং দত্তক গ্রহণের জন্য তাদের নিজস্ব মতবাদ এবং রীতিনীতি অনুসরণ করে। সংবিধানে উল্লিখিত ইউসিসি অনুসারে, সকল ভারতীয়র জন্য একক আইন হবে।
সরকার আইনটি পাশ করানোর পরিকল্পনা করছে কি না তা জানা যায়নি।
মুসলিম নেতারা বলেছেন, ইউসিসি প্রবর্তনের আহ্বানের মাধ্যমে মোদি এবং তার হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠদের কাছ থেকে ভোট সংগ্রহের লক্ষ্যে সাম্প্রদায়িক লাইনে সমাজের মেরুকরণের চেষ্টা করছে।
কয়েক দশক ধরে বিজেপি ইউসিসির পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছে। তারা বলে, বিদ্যমান আইনসমূহ অসমতাকে উৎসাহিত করে এবং এগুলো ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের সঙ্গে ভালোভাবে খাপ খায় না। বেশ কিছু ডানপন্থী হিন্দু এই ধারণাটির পক্ষে সমর্থন প্রকাশ করেছে।