কালনা থেকে শান্তিপুর যাওয়ার পথে গতকাল মধ্যরাতে গঙ্গায় ঘটে দুর্ঘটনাটি। নিখোঁজ বহু যাত্রী। কালনার দিকে উদ্ধারকাজ শুরু হলেও শান্তিপুরের ঘাটে দেরিতে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। এই বিষয় পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এলাকাবাসীরা। প্রতিবাদে ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক নৌকায় আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। মাথা ফেটে যায় শান্তিপুর থানার এসআই মহম্মদ ইলিয়াসের। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন নদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয় প্রসাদ ও রানাঘাটের এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ বসু। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছে কমব্যাট ফোর্স। মোতায়েন করা হয়েছে বেশ কয়েকটি থানার পুলিশ।
উদ্ধারকাজে দেরি করার অভিযোগ তো ছিলই। এবার কালনা ঘাটের কাছে নৌকাডুবির ঘটনায় পুলিশি প্রহরা ঘিরেও উঠল প্রশ্ন। ভবা পাগলার উৎসব উপলক্ষে কালনা ফেরি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় প্রতি বছর মেলা বসে। গতকাল রাতে মেলা থেকেই ফিরছিলেন শান্তিপুরের বহু বাসিন্দা। কালনা ফেরি ঘাটে পুলিশের প্রহরা সত্ত্বেও হুড়মুড়িয়ে নৌকায় উঠে পড়েন শতাধিক যাত্রী। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নৌকার বহন ক্ষমতার বেশি যাত্রী উঠলেও, তাঁদের বাধা দেওয়া তো দূরে থাক, সামান্য আপত্তিটুকুও করেনি পুলিশ। যার পরিণতি নৌকাডুবি। নিকষ অন্ধকারে ঘাট ছেড়ে কিছুদূর এগোতেই উল্টে যায় নৌকা।পরমাশিস ঘোষরায়ের রিপোর্ট: