হিমালয়ের সীমান্ত বরাবর চীনা সৈন্যদের সঙ্গে সংঘাতে ২০ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হবার কয়েকদিন পরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন ভারত তার কোন জায়গায় হারায়নি। টেলিভিশনে দেয়া এক মন্তব্যে মোদি বলেন আমাদের সীমান্তে কেউ অনুপ্রবেশ করেনি, সেখানে এখন কেউ নেই এবং কেউই আমাদের কোন চৌকি দখল করেনি। এর ঠিক আগেই তিনি এই সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য শীর্ষ বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মনে করা হচ্ছে তাঁর এই মন্তব্য উত্তেজনা প্রশমনেরই প্রচেষ্টা যেখানে গত পাঁচ দশকের মধ্যে দুটি পরমাণূ শক্তি সম্পন্ন দেশের মধ্যে সব চাইতে মারাত্মক সংঘাত হলো। লাদাখের পুর্বাঞ্চলে এই সংঘর্ষে উস্কানি দেয়ার জন্য ভারত ও চীন পরস্পরকে দোষারোপ করেছে। এই এলাকাটি উভয় দেশের জন্য কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। মোদি বলেন গোটা দেশ চীনের এই পদক্ষেপে আহত এবং ক্ষুব্ধ বোধ করছে। তিনি বলেন ভারত শান্তি এবং বন্ধুত্ব চায় কিন্তু সার্বভৌমত্ব বজায় রাখাটা হচ্ছে সব চেয়ে আগে।
ও দিকে চীন পাল্টা অভিযোগ করে বলছে যে ভারতীয় সৈন্যরাই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে চীনা দিকে কিছু নির্মাণ কাজ শুরু করে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজান শুক্রবার বলেন কে ঠিক আর কে ভুল সেটা খুবিই পরিস্কার, এর দায় সম্পুর্ণ ভাবে ভারতীয়দের হাতে। দীর্ঘ দিন ধরে এ রকম প্রোটোকল আছে যে সীমান্ত বরাবর কোন পক্ষের সৈন্যরা কোন আগ্নেয়াস্ত্র বা বিস্ফোরক বহন করতে পারবে না। দু পক্ষের সৈন্যরা সেখানে পরস্পরের খুব কাছাকাছি থেকে টহল দিয়ে থাকে। এ দিকে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে যে ঐ সংঘর্ষে ৭৬ জন ভারতীয় সৈন্য আহত হয়। মোদি সীমান্ত রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন এবং বলেন সব রকমের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে বলা আছে এবং তারা ভারতের জমি সুরক্ষায় সক্ষম। এ দিকে ভারতের বিরোধী দলগুলো এই বলে সরকারের সমালোচনা করেছে যে সরকার চীনা অনুপ্রবেশ টের পায়নি এবং চীনকে ভারতীয় অঞ্চল ছেড়ে যেতে বাধ্য করার জন্য সরকারের প্রতি কড়া ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ভারতের বিরোধীদল কংগ্রেস পার্টির নেত্রী সোনিয়া গান্ধী বিস্ময় প্রকাশ করেন যে সরকার কি নিয়মিত সীমান্তের স্যাটেলাইট ছবি দেখে না।