আজ তেসরা মে, "বিশ্ব সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা দিবস"। মানুষকে আসল খবর জানাতে গিয়ে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, সরকারের শাসানি, মাফিয়াদের হুমকি অগ্রাহ্য করে যাঁরা খবর করেছেন এবং করছেন, যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারীতেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাঁরা ঘটনাস্থল থেকে খবর পাঠিয়ে গিয়েছেন এবং এখনো পাঠাচ্ছেন, পাঠকের কাছে ঠিক খবর পৌঁছে দেওয়ার জন্য খবরের কাগজ ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যাঁরা দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তাঁদের সকলকে কুর্নিশ, ভালবাসা, শুভেচ্ছা।
সারা পৃথিবীতেই সংবাদমাধ্যমকে বলা হয় গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আইনসভা, নির্বাচিত সরকার, বিচার বিভাগ ও সংবাদমাধ্যম। সুষ্ঠুভাবে ও সৎভাবে দেশ চালাতে গেলে নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যম অবশ্য প্রয়োজন। কারণ তার থেকেই সরকার জানবে দেশের কোথায় সত্যি কী ঘটছে।
স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সেটা জানতেন। তাঁর চরম সমালোচক সাংবাদিককেও তিনি কখনো কাজে বাধা দেননি। কিন্তু বিগত সত্তর বছরে ক্রমে ক্রমে অবস্থা বদলেছে। রাষ্ট্রযন্ত্র আর প্রতিবাদ সহ্য করতে চায় না, প্রশ্ন শুনতে চায় না। সারা বিশ্বেই বহু দেশে কমবেশি একই ছবি। তবে আপাতত আমরা আলোচনা করবো পশ্চিমবঙ্গে এবং সামগ্রিক ভাবে ভারতে এই মুহূর্তে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কতটুকু? সেই প্রসঙ্গে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক অনমিত্র চ্যাটার্জি কথা বলেছেন।