অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নিরাপদ সড়ক সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয়: সড়ক দূর্ঘটনার ভিন্ন পরিসংখ্যান  


বাংলাদেশ যাত্রী কল্যান সমিতির লোগো- ফটো- যাত্রী কল্যান সমিতি
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যান সমিতির লোগো- ফটো- যাত্রী কল্যান সমিতি

জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সড়ককে নিরাপদ করতে এবং সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকার সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকায়নসহ নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন বর্তমান সরকারের সময় মহাসড়ক ২২,৪২৮ কিলোমিটারে উন্নীত করা হয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নকালে বিআরটিএ পেশাদার গাড়িচালকদের জন্য আবশ্যিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন ২০২০-২১ অর্থবছরে এই কর্মসূচির আওতায় ৭৬,০৮৮ জন পেশাজীবী গাড়িচালককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন ট্রাফিক আইন ভঙ্গ এবং ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল রোধকল্পে বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ করোনা দুর্যোগের মধ্যেও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা অব্যাহত

এ দিকে গত ছয় বছরে বাংলাদেশে ৩১,৭৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৩, ৮৫৬ জন নিহত এবং অপর ৯১,৩৫৮ জন আহত হওয়ার তথ্য তুলে ধরেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

আগামীকাল শুক্রবার দেশে পালিত হতে যাওয়া 'জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২১' এর প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মাদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী এক বিবৃতিতে সড়ক দুর্ঘটনার এমন চিত্র তুলে ধরে বলেছেন সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের এ সকল ঘটনা ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এই ছয় বছরে ঘটেছে।

যাত্রীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা এই সংস্থাটি বলেছে টানা তিনবারের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী নানা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হলেও তৃতীয় মেয়াদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে নিরাপদ সড়কের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে গাফিলতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরাতে বিবৃতিতে বলা হয় সারা দেশে প্রতিদিন গড়ে ৬৪ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন এবং ১৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হচ্ছেন।

বিবৃতিতে বলা হয় জাতিসংঘ ২০১১ থেকে ২০২১ সালকে সড়ক নিরাপত্তা দশক ঘোষণা করে সদস্য দেশগুলোর সড়ক দুর্ঘটনা অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে। ওই ঘোষণায় অনুস্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এ অঙ্গীকার রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। দুর্ঘটনা এড়াতে সড়ক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির বাজেট বাড়ানো, গবেষণা, সভা-সেমিনার, প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে গণসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি সড়কে চাঁদাবাজি এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ ও ট্রাফিক বিভাগের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

এ ছাড়া দীর্ঘদিন আটকে থাকা ১২ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স দ্রুত চালকের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা এবং সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরে এসকল সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে নিরাপদ সড়কের জন্য সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।

XS
SM
MD
LG